বয়স ২৪ হোক কিংবা ৪০, আক্কেল দাঁত থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল! এই দাঁত দেখা দেয়া মানেই ব্যথায় ছোট-বড় সবাই কুঁকড়ে কাহিল।
মুখের একদম শেষ দিকে ওপরে ও নীচে দুই পাশের মোট ৪টি দাঁতকে বলা হয় আক্কেল দাঁত। সাধারণত ১৮-২৫ বছররের মধ্যে যেকোনো সময় আক্কেল দাঁত উঠে থাকে। অনেক সময় এর পরও উঠতে পারে।
আক্কেল দাঁত কেন বেদনাদায়ক?
প্রথমত এই দাঁত মাড়ির নিচে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। এতে করে মাড়ি ফুঁড়ে বের হওয়ার সময় ব্যথা অনুভূত হয়। এসময় মাড়ি ফুলে ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া মুখে সবগুলো দাঁত ধারণ ক্ষমতার জায়গা না থাকলে আক্কেল দাঁত ওঠার সময় প্রচণ্ড ব্যথা হয়। অনেক সময় অপারেশন করে মাড়ি কেটে দাঁত বের করতে হয়। শধু তাই নয়, মাঝে মাঝে আক্কেল দাঁত মাড়ির নিচে এমন জটিল অবস্থায় থাকে, যা পার্শ্ববর্তী দাঁতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
পরিত্রানে ঘরোয়া উপায়
ক্রমাগত ব্যথা হলে কিংবা কিছুতেই ব্যথা না কমলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তবে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে ঘরোয়া উপায়ে ব্যথা নিরাময়ের চেষ্টা করা যায়। কারণ দাঁত উঠে গেলে ব্যথা আপনাআপনি কমে যাবে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী চলুন পরিত্রান পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
লবণ ও কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করা
কুসুম গরম পানিতে লবণ দিয়ে কুলকুচি করলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুরো মরে যায়। এতে করে আরাম পাওয়া যায়।
আদা এবং রসুন কুচি খাওয়া
দাঁত ব্যথার জন্য দায়ী প্যাথোজেনের সঙ্গে লড়াই করে প্রদাহ প্রশমিত করে আদা ও রসুন।
লবঙ্গ চিবানো
লবঙ্গের প্রাকৃতিক উপাদান ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে দাঁতের ব্যথা কমায়।
পুদিনার রস
ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে প্রাকৃতিক উপানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী পুদিনা। এই উপাদনটির রস খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
ঠান্ডা ও গরম সেঁক দেয়া
প্রথমে বরফ দিয়ে সেঁক দিয়ে এরপর আবার সহনীয় গরম পানি দিয়ে কুলি করতে হবে। এভাবে কয়েকবার করলে ব্যথার স্থলে রক্ত সঞ্চালন বারবে এবং মাড়ির পেশির যে উত্তেজনা সেটি কমবে।
অ্যালোভেরা
আক্কেল দাঁত যেখানে উঠেছে সেখানে অ্যালোভেরা জেল লাগালে প্রশান্তি পাওয়া যাবে। মাড়ির লাল ভাব কমে যাবে।
পাঠকের মতামত: