কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসছেন বেলজিয়ামের রানি

জাতিসংঘ মহাসচিবের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) দূত বেলজিয়ামের রানি মাথিলদা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। রোহিঙ্গাদের নিয়ে জাতিসংঘের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং এ দেশের আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে দেখা করার জন্য রানি সেখানে যাবেন।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলজিয়ামের রানি তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান।

জাতিসংঘের বাংলাদেশ অফিস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোভিড ১৯ মহামারি বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের অগ্রগতিকে স্থবির করে দেওয়ার পাশাপাশি উল্টো দিকে প্রবাহিত করেছিল। পরবর্তী সময়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটকে বেগবান করেছে। এই দুই প্রেক্ষাপটের আলোকে এই সফর এসডিজি’র বাড়তি গুরুত্বকে তুলে ধরার পাশাপাশি এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের গতিশীলতা ও প্রতিশ্রুতি সবার নজরে আনবে।

বাংলাদেশে সফরের প্রথম দিন রানি নারায়ণগঞ্জের ফকির অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করেন। এই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বৃহদাকার আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর জন্য পোশাক তৈরি করে থাকে। ফ্যাক্টরিটির এক-তৃতীয়াংশ জনবল নারী, যারা জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং আন্তর্জাতিক ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) পরিচালিত জেন্ডার সমতা ও রিটার্ন্স প্রকল্প (জিইএআর) এবং ‘কর্মজীবী মায়েদের’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ৪৭টি ব্র্যান্ড, নিয়োগকর্তা সমিতির সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে, বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রামটি ৪৫০টি কারখানাকে সহযোগিতা করে, যা বাংলাদেশের ১.২৫ মিলিয়নেরও বেশি শ্রমিককে উপকৃত করেছে। এই কাজ জেন্ডার সমতা অর্জন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সমুন্নত রাখা এবং সবার জন্য জীবিকা ও শোভন কাজ বিষয়ক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখে।

বেলজিয়ামের রানি এই ফ্যাক্টরিতে কর্মরত কিছু নারী কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন ও শিশু-যত্ন সুবিধা পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশে আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিয়ানেন বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে বেলজিয়ামের রানি বাংলাদেশে শোভন কাজ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের পাশে রয়েছেন। এতে শোভন কাজের নিশ্চয়তা, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো গতিশীল দেশগুলোর জন্য বৈষম্য, দারিদ্র্য, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংক্রান্ত লক্ষ্যগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথ সুগম হবে।

পাঠকের মতামত: