কক্সবাজার, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

সাবেক এই কূটনীতিক সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেন

উপদেষ্টা মর্যাদায় রোহিঙ্গা বিষয়ক ‘হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ’ খলিলুর

উপদেষ্টার মর্যাদায় সাবেক কূটনীতিক খলিলুর রহমানকে রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত ‘হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের’ দায়িত্ব দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উপদেষ্টা হিসেবে তার এ দায়িত্বে আসার প্রজ্ঞাপন মঙ্গলবার জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

জাতিসংঘে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করা পররাষ্ট্র ক্যাডারের সাবেক এই কূটনীতিক ২০০১ সালে তৃতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেন।

রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা খলিলুর রহমান প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে উপদেষ্টার মর্যাদা, বেতন-ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

পেশাদার কূটনীতিক খলিলুর রহমান ১৯৯১ সালে জেনিভায় জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনে (আঙ্কটাড) বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে জাতিসংঘ সচিবালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী ২৫ বছরে জাতিসংঘের জেনিভা ও নিউ ইয়র্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতির ডিগ্রিধারী খলিলুর ১৯৭৭ সালে প্রথম নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৭৯ সালে পররাষ্ট্র ক্যাডারে যোগ দেন। ১৯৭৮-৭৯ সালে তিনি আমেরিকান এক্সপ্রেস ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকে নির্বাহী পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮০-৮৩ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ও আইন ও কূটনীতিতে এমএ এবং অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

পরে ১৯৮৩-৮৫ সময়কালে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনে যোগ দেন। সেখানে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অর্থনৈতিক ও আর্থিক কমিটিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলির (এলডিসি) মুখপাত্র হিসেবে এ কমিটি ও জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে দায়িত্ব পালন করেন।

বর্তমানে তিনি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পাঠকের মতামত: