কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের বিপণিবিতানে উপচেপড়া ভিড়

কক্সবাজারে রোজার শুরু থেকে গরমের প্রখরতা বেশি। বৃষ্টির দেখা নেই বললেই চলে। ঈদে উৎসবের আমেজ ছড়াতে ইফতারের পর কেনাকাটায় মনোযোগী হচ্ছেন কক্সবাজারের সব শ্রেণির মানুষ। জমে উঠেছে ঈদবাজার। ফলে জেলা, উপজেলা ও পৌর শহরের বাণিজ্যিক এলাকার বিপণিবিতানগুলো লোকারণ্য। চলছে সকাল-দুপুর-মধ্যরাত পর্যন্ত বিকিকিনি।

জেলা শহরের নিউ মার্কেট, ফজল মার্কেট, সমবায় সুপার মার্কেট, এ ছালাম মার্কেট, ইডেন গার্ডেন সিটি, সি-কুইন মার্কেট, আপন টাওয়ার, হাজেরা ও ফিরোজা শপিং কমপ্লেক্স, পৌর সুপার মার্কেট, বাটা মার্কেট, ডাটা বাজার, মসজিদ মার্কেট ও হকার মার্কেটসহ একাধিক বিপণিবিতান ঘুরে দেখা গেছে, বেশীর ভাগ দোকানে নানা বয়সী নারী ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। তাল মিলিয়ে আসছে কিশোর ও তরুণরাও। ঈদে পোশাকে মধ্যবয়সী কিংবা নব বিবাহিতা নারীরা বিভিন্ন নামি-দামি ব্রান্ডের শাড়ি খুঁজলেও তরুণী ও কিশোরীদের পছন্দ থ্রি-পিচ। অনেকে ভারতীয় সিনেমা-সিরিয়ালের চরিত্রের সঙ্গে মেলানো নামের নানা পোশাক কিনছেন।

নির্দিষ্ট কোনো ব্রান্ড না থাকলেও ছোটদের জন্য খোঁজা হচ্ছে লেটেস্ট ব্রান্ডের নানা ধরণের সুতির পতোয়া-মেয়েলি ড্রেস। এসবের সঙ্গে কেউ কেউ চাচ্ছেন শিপন, থ্রি-পিস, জিন্স প্যান্ট, জামদানি শাড়ি, বেনারসি, কাতানসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক।

শুধু কাপড় নয়, পাল্লা দিয়ে বিক্রি বেড়েছে পাদুকারও। শহরের পান বাজার সড়কের বাটা, ডাটা, বাজারঘাটার জীলস্, মসজিদ মার্কেট গুলো দেশি-বিদেশি কোম্পানির নানা ডিজাইনের জুতোর পশরা সাজিয়ে রেখেছেন। বেড়েছে প্রসাধন সামগ্রীর বিক্রিও।

খোয়াব ফ্যাশনের মালিক রুনা শিউলি বলেন, রোজারসঙ্গে চলমান আবহাওয়া বলতে গেলে বৈরী। এরপরও বাজারে আসছেন ক্রেতারা। ছোটদের পরিবেশের সঙ্গে মানানসই আমাদের অভিজাত কালেকশনগুলো বিক্রি হচ্ছে বেশি।

হাজেরা শপিং কমপ্লেক্সের সত্ত্বাধিকারী আজিজ মওলা চৌধুরী জানান, এবার রমজানের শুরু থেকে তীব্র দাবদাহ। এরপরও দশম রমজানের পর হতে কমবেশি বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। দূরের ক্রেতারা দিনে আর শহরের বাসিন্দারা রাতে ভিড় বাড়াচ্ছে।

এদিকে চুরি-ছিনতাই ও ইভটিজিং প্রতিরোধে বিপণিবিতানগুলোর সামনে ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।

কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতিভুক্ত অর্ধশত মার্কেটসহ উপজেলার প্রতিটি মার্কেটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত বলয় রয়েছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে মার্কেটের নিজস্ব কর্মীও। মাইকিং করে যানজট না করতে বার বার সতর্ক করা হচ্ছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ঈদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মার্কেটের সামনে পর্যাপ্ত পুলিশ পাহারা বসানো রয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ঈদ বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। সবার জন্য সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন ঈদ কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

পাঠকের মতামত: