কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ঘুর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে দমকা বাতাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রায় অর্ধ শত কাচা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে।
সোমবার (২৭ মে) সকালের দিকে হঠাৎ ভারি বর্ষন ও বাতাস শুরু হলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়। বেড়িবাঁধের পাশে থাকা জোয়ারে পানির ঢেউয়ের আঘাতে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন ২ জন।
প্রচন্ড বাতাসে উপজেলা সদরে মাস্টার তালেব উল্লাহ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ৩ তলার টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। বড়ঘোপ ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার একাডেমিক ভবনের টিনের ছাদ উড়ে গেছে। একাধিক স্থানে বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে সকাল থেকেই।
আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের তেলি পাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধের ভেঙে সমুদ্রের নোনা পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে, তাছাড়া কৈয়ারবিল ইউনিয়নের উত্তর কৈয়ারবিল এলাকায় বেড়িবাঁধের ভেঙেছে বলে জানা গেছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড কুতুবদিয়া কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এলটন চাকমা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার দুপুর ২টার দিকে আলী আকবর ডেইল হকদার পাড়ার মো: তাহের এর পুত্র শহীদ(১৬) ও তেলি পাড়ার আলতাফ মিয়ার পুত্র হাবিবুর(২৬) ঝড়ের কবলে পড়ে আহত হলে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয় রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। এসময় ডা: বিপ্লব বড়ুয়া শহীদকে ভর্তি দেন ও হাবিবকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: জিয়াউর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে কাচাঘর,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৩৩টির আংশিক ও ২টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য তারা পেয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহি কর্নকর্তা মো: মঈনুল হোসেন চৌধুরী জানান, প্রচন্ড বাতাস বৃষ্টিতে এপর্যন্ত ৩৫টি কাচা ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতির খবর জানতে পেরেছেন। আরো বিস্তারিত জানতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানান।
পাঠকের মতামত: