নুর মোহাম্মদ সিকদার, ঘুমধুম::
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী তুমব্রু উত্তর পাড়ায় বেতবুনিয়ার সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলায় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার আব্দু জব্বারসহ ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে।
রবিবার (২৩ এপ্রিল) আনুমানিক রাত ৮টার দিকে তুমব্রু উত্তর পাড়া বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্রো ও মোহাম্মদ আলম।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল হক সাংবাদিকদের জানান, ঘুমধুমের বেতবুনিয়া গ্রামের সুকুমারের ছেলে সুমন (২১), উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউপিস্থ দোছড়ি ৩নং ওয়ার্ডের আলীচান’র ছেলে নুর মোহাম্মদ (১৭), ঘুমধুমের সুজন, জাফর আলমের ছেলে মিছবাহ, ছৈয়দ কাশেমের ছেলে তায়েব, উসমান, ইমাম শরীফের ছেলে সাইফুলসহ ১৫জনের অধিক সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রটি ব্যাটারিত চালিত অটোরিক্সা যোগে এসে অতর্কিত ভাবে মৃত মেহের আলীর ছেলে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার আব্দু জব্বর(৬০)কে দেশীয় অস্ত্র ছুরি, হাতুড়ি, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে দেখলে স্থানীয় উত্তর পাড়ার মৃত জহির আহমদের ছেলে হামিদুল হক( ৪৫), রশিদ আহমদের ছেলে এজাহার হোসেন লালু ( সূবর্ণ নাগরিক), হাচু মিয়ার ছেলে ছৈয়দ নূর বাঁধা দিলে তাদেরকেও গুরুতর জখম করার ঘটনা এলাকার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা জড়ো হতে দেখে মূহুর্তে সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত গতিতে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে ২জনকে স্থানীয়রা ধরে ফেলে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানতে পারি, সন্ধ্যার দিকে ৬জন তুমব্রু চাকমা পাড়া থেকে মদপান (তরল পানিয়) করে উত্তর পাড়া বাজারে এসে হৈছৈ করলে গ্রাম পুলিশ আব্দু জব্বার তাদেরকে চলে যেতে বলাকে কেন্দ্র করে ঘুমধুমের বেতবুনিয়া থেকে আরো যুবক এসে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টোর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উত্তর পাড়া বাজারের ঘটনা শোনামাত্র ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে দেখে। ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ফোন করি এবং ২০ মিনিটের ভিতর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়ে বলে জানান তিনি।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর’ আজিজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে ২ও ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে জেনেছি এবং যারা সঙ্গবদ্ধ চক্রের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত উখিয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) টান্টু শাহ ‘র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘটনার বিষয়ে এখনো অভিযোগ পাইনি, যদি অভিযোগ পাই তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য ; আহত সূবর্ণ নাগরিক এজাহার হোসেন লালু’র কসমেটিকের দোকানটি মদ্যপান করা বেতবুনিয়ার যুবকরা ভাংচুর করেছে বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: