কক্সবাজার, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরে জলাবদ্ধতা

সিলেটে টানা ছয়দিন ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। একারণে সিলেট নগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক উপচে পানি ঢুকে পড়ছে বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। গত ১৪ জুন ভোর থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটে। এতে নগরের নিম্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, ভারতের আসামেও ভারী বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। আসাম থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও সিলেটে টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বেলা ৩টায় সুরমার পানি বিপদসীমার ১৩ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা হচ্ছে ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। গত ২১ ঘন্টায় কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বেড়েছে ৩৭ সেন্টিমিটার।

সুরমা নদীর সিলেট সদর পয়েন্টে বেলা ৩টায় সুরমার পানি বিপদসীমার ১০ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা হচ্ছে ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। গত ২১ ঘন্টায় সদর পয়েন্টে পানি বেড়েছে ৩৩ সেন্টিমিটার। এছাড়া পানি বেড়েছে সিলেটের কুশিয়ারা, ধলাই, লোভা ও সারী নদীতে পানি বাড়ছে তর তর করে।

আজ সোমবার নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টানা বর্ষণের ফলে নগরের মদিনা মার্কেট, আখালিয়া, আখালিয়ায় নতুন বাজার, সুবিদবাজারের নুরানী, ছড়ারপাড়বেশ কিছু এলাকার জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে। অনেক এলাকায় সড়কে হাঁটুপানি দেখা গেছে।

জলাবদ্ধতায় বিভিন্ন এলাকার সড়ক জলমগ্ন হয়ে পড়ায় চলাচলেও ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী পেশাজীবী মানুষের ভোগান্তিতে পড়েছেন বেশী।

আখালিয়া এলাকার শাহীন আহমদ জানান, শেষ রাতে বৃষ্টি শুরু হয়েছিলো। এখনও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আখালিয়া নয়াবাজার সড়কে পানি, বাসার সামনে পানি। মানুষ কষ্টে আছে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুত গতিতে এই পানি নেমে যাবে। সিটি কর্পোরেশনের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন বলেন, ভোররাত থেকে শুরু করে দুপুর ১১টা পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১১২ আর সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া সারাদিন থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: