কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

তারেককে ফেরাতে ঢাকা-লন্ডনের টিকিটের ব্যবস্থা করতে চায় ছাত্রলীগ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তারেককে দেশে ফেরাতে ঢাকা- লন্ডনের টিকিটের ব্যবস্থা করে দিবে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে ১৭ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও ২১ আগস্টের বোমা হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচারের আওতায় নিয়ে আসুন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা- লন্ডনের টিকিটের ব্যবস্থা করে দিবে তবুও আইনের শাসন বাস্তবায়ন করুন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭আগস্ট) দুপুর ১২ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত ‘২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা ও স্বাধীনতাবিরোধী- যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন-আস্ফালনের’ প্রতিবাদে ছাত্রসমাজের পদযাত্রা ও সমাবেশে এসব মন্তব্য করেন ছাত্রলীগ সভাপতি।

এসময় তিনি বলেন, গণতন্ত্র, সুশাসন ও উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাঁধা তারেক রহমান। ২০০৫ সালে সারাদেশে একযোগে জঙ্গিরা ৪৬৪ স্থানে ৫০০ বোমা হামলা করেছিল। সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক বিভিন্ন দেশে অনেক ঘটনা ঘটলেও এই বোমা হামলাটি পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র পরিকল্পিত ঘটনা যেখানে সরাসরি বিএনপি সরকারের ৮ জন মন্ত্রী ও সাংসদ জড়িত ছিলো। বাংলা ভাইয়ের ছোট ভাই কুখ্যাত জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিলো র‍্যাব কিন্তু তারেক রহমান র‍্যাবের চিফকে কল দিয়ে বলেছিলেন যেনো তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সুতরাং বুঝা যায় তারেক রহমানের মদদে এই হামলা করা হয়েছিলো। তাই আমরা বলতে চাই, তারেক রহমানকে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেয়া দেশ ও তারুণ্যের জন্য নিরাপদ নয়।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে ডেভেলপমেন্ট মিরাকল রাজনীতিবিদ।  কীভাবে জঙ্গিবাদ, অগ্নিসন্ত্রাস নিরসন করতে হয় এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন পরিচালনা করে সমগ্র দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে হয় তার প্রামাণ্য দলিল শেখ হাসিনা।

পদযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে ছাত্রলীগের ঢাবি সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীরা তাদের জবানবন্দিতে বলেছিলেন জিয়াউর রহমান কিভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যায় ভূমিকা রেখেছেন। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা নৈতিক আদর্শে বলিয়ান। আমাদের অদম্য শক্তির সাথে রাজপথে না পেরে আমাদের দমন করার জন্য হামলার মাধ্যমে আমাদের দমন করার চেষ্টা করেছে।

ছাত্রলীগের ঢাবি সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ ই আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছিলো। ১৯৭৫ সালে অসাম্প্রদায়িকতাকে হত্যা করে বিএনপির জন্ম হয়েছে। তারা নিজেদের স্লোগান হিসেবে ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ বলে। তারমানে বাংলাদেশ কি ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলায় ব্যাক করবে? নাকি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় ব্যাক করবে?

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি দেশের জনগণের করের টাকায়। দেশের মানুষের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা তাদের জন্য লড়াই সংগ্রাম করবো। কিন্তু যারা রাজাকারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তাদের পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিনের সঞ্চালনায় ও কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে পদযাত্রা ও সমাবেশে ছাত্রলীগের মহানগর উত্তর ও মহানগর দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। পদযাত্রায় মহানগর উত্তর, মহানগর দক্ষিণ, ঢাবির বিভিন্ন হল শাখা, ৭ কলেজের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: