কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪

দেশের বৃহত্তম প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হলো কক্সবাজারে

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান।
প্রতিবছর বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো মানুষের ঢল নামলেও এবার ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র কারণে প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজনে সৈকতে উপস্থিতি কম দেখা গেছে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের লাবনী পয়েন্টে জেলা প্রশাসন ও পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিজয়া দশমীর আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
আয়োজকরা জানান, শুধু লাবণী পয়েন্টে এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা দেড়শ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে জেলার রামুর বাঁকখাল নদী, চকরিয়ার মাতামুহুরী, টেকনাফের সমুদ্রসৈকত ও নাফনদী, উখিয়ার ইনানী সৈকত ও রেজুখালে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জল কর এর সভাপতিত্বে এতে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক এবং কানিজ ফাতেমা আহমেদ, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মো মাহাফুজুল ইসলাম, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো জিল্লুর রহমান, পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ উৎসর্গ মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। এর মধ্যদিয়ে শেষ হলো সনাতন সম্প্রদায়ের পাঁচদিনব্যাপী দুর্গোৎসব।
পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, জেলার নয় উপজেলার তিনশো ১৫টি পূজামণ্ডপে নেয়া হয়েছিল তিন স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শুধু সৈকত এলাকায় প্রায় চারশ’ ফোর্স মোতায়েন করা হয়।

পাঠকের মতামত: