কক্সবাজার, শনিবার, ২০ জুলাই ২০২৪

নাজিরারটেকে অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুুতিকালে ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার

কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৭ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫। গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২ টায় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরারটেক চরপাড়ার বালুচরে ডাকাতি প্রস্তুুতকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয় বলে জানায় র‌্যাব। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব আরো জানায়, ডাকাতির প্রস্তুুতি তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রসহ পালানোর চেষ্টাকালে চক্রের ৭ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় এবং আরো ২ ডাকাত পালিয়ে যায়।

এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি একনালা বন্দুক, ২টি এলজি, ৯টি তাজা কার্তুজ, ২টি দামা, ১টি রাম দা, ৪টি বাটন ও ১টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত চক্রটির সদস্যরা হলেন, মহেশখালী কুতুবজুমের সোনাদিয়া এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে সৈয়দুল করিম (৩০), কুতুবদিয়ার বড় গোফ এলাকার আলমের ছেলে দেলোয়ার (২২), কুতুবদিয়ার মাতবর পাড়ার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে পারভেজ আলম (২৪), মহেশখালী ধলঘাটার আকতার হোসাইনের ছেলে রুহুল কাদের (২২), কক্সবাজার সদরের ঘোনার পাড়া এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে মো. আবদুল মাবুদ (২৭), সোনাদিয়ার নবীর হোসেনের ছেলে মো. সাগর (২২), মহেশখালীর ধলঘাটা ইউনিয়নের মৃত আবু তাহেরের ছেলে হাফেজ এছাম উদ্দিন প্রকাশ হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৯)।

র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা জানান, নাজিরারটেক বালুর চরে একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সাগরের মাছ ধরা ট্রলারের মাছ এবং জাল ডাকাতি করে থাকে বলে স্বীকার করে। নানাবিধ অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুুতি, হত্যা এবং অস্ত্রের একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তারা একাধিকবার করে গ্রেপ্তারও হয়েছিল।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সদর মডেল থানায় প্রেরন করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী।

পাঠকের মতামত: