চট্টগ্রামের পটিয়ায় উপজেলা নির্বাচন অফিসে মামার এনআইডির তথ্য জানতে এসে আটক হয়েছেন এক রোহিঙ্গা যুবক। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে পটিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
আটক যুবকের নাম মো. সাবের (২০)। ২০১৭ সালে কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালি ক্যাম্পে আসেন তিনি। তবে ২০২২ সালে ভুয়া নাম-ঠিকানা দেখিয়ে এনআইডি বানিয়ে পটিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে সাবের উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে আসেন আনোয়ার কামাল নামে এক ব্যক্তির এআইডি কার্ড ব্লক থাকার কারণ জানতে। এ সময় তিনি ব্লক খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
তথ্য যাচাই-বাছাই করার সময় নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা দেখেন, ২০১৮ সালে রোহিঙ্গা হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর আনোয়ার কামালের এনআইডি কার্ড ব্লক (স্থগিত) করে কর্তৃপক্ষ।
পরে সাবেরকে সন্দেহ হলে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তিনিও নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম জানান, মো. সাবের ২০১৭ সালে কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালি ক্যাম্পে আসেন। কিন্তু ২০২২ সালে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে এনআইডি বানান এবং পটিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করছেন। এবার তিনি আসেন তার মামা আনোয়ার কামাল নামে অন্য এক রোহিঙ্গার এনআইডির ব্লক খুলতে। যাচাই-বাছাই শেষে সন্দেহ হলে আমরা পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে তাকে আটক করে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর জানান, নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মো. সাবের নামের এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পাঠকের মতামত: