মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর পার হলো ২ বছর। ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে চলা করোনা সঙ্কটের মধ্যেই অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক জান্তা। আন্তর্জাতিক মহলের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চলে নিপীড়ন-নির্যাতন। এবার দেশটির জান্তা সরকারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশ কানাডা, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, সেনা অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের দুই বছর পর দেশটির সামরিক শাসকদের ওপর চাপ প্রয়োগে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর আওতায় ছয় ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান জান্তা সরকারকে জ্বালানিখাতের প্রসার, বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব তৈরিসহ রাজস্ব ও অস্ত্র সংগ্রহে সাহায্য করেছে।ব্লিংকেন জানান, মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, খনি কোম্পানি, জ্বালানি বিষয়ক কর্মকর্তা ও সাবেক-বর্তমান কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাছাড়া প্রথমবারের মতো মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (এমওজিই) কর্মকর্তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জান্তা সরকার যে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারে অবাধ নিরেপক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে- এমন আকাঙ্ক্ষায় দৃড় অবস্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের জান্তা সরকার এ বছরের আগস্ট মাসের মধ্যে দেশটিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের জন্য যোগ্য হতে রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে কঠোর সব শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে।সূত্র : বিবিসি।
পাঠকের মতামত: