ভালো মানের জুতা-শার্ট-স্যুট পরে বিমানে করে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন রবিউল আলম। ভিআইপি সেজে কক্সবাজার বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন তিনি। প্রবেশপথে সিভিল এ্যাভিয়েশনের স্ক্যানার মেশিনে বাঁধে বিপত্তি। জুতায় ধরা পড়ে ইয়াবা। যথারীতি জুতায় বিশেষ কায়দায় ইয়াবা বহন করে সে যাচ্ছিলেন ঢাকায়। জুতা থেকে একে একে বের হয় ২ হাজার ৯২৯ পিচ ইয়াবা। জানা গেছে সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার বিমানবন্দর সিভিল এ্যাভিয়েশনের অপারেটর বাবু রায়ের দক্ষতায় প্রবেশ গেইটের স্ক্যানার মেশিনে ধরা পড়েনতিনি। পরবর্তীতে বিশেষ কায়দায় জুতার ভেতর থেকে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অবশেষে রবিউলের ইয়াবার জুতা উড়তে পারলো না আকাশে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার বিমানবন্দরের জেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা রাখেস চক্রবর্তী বলেন, ”প্রবেশ গেইটে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থাকে সিভিল এ্যাভিয়েশন। যার কারনে মাদক চোরাচালানসহ যেকোন ধরনের অবৈধ পণ্য ধরা পড়ছে। এরআগেও ইয়াবা আমরা আটক করেছি। পাচারকারী ভিন্ন ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করলেও আমাদের কর্মীরা সার্বক্ষণিক সক্রিয় রয়েছে”।
আটক রবিউল টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী বাজার এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে।
পরে রবিউল আলমকে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) কে সোপর্দ করা হয়। ৮ এপিবিএনের পুলিশ সুপার উক্য সিং বলেন, বিমানবন্দরে এপিবিএনও কর্মরত আছে। বিমানবন্দর থেকে খবর পেয়ে আমি আসি। পরে জব্দ তালিকা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
পাঠকের মতামত: