কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

অশান্তি সৃষ্টির জন্য বিএনপি সমাবেশ করে: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি দেশে অশান্তি সৃষ্টির জন্য সমাবেশ করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দল আজকে যে সমাবেশ করছে এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় যে সমাবেশগুলো আমরা করেছি, সেগুলো শান্তি সমাবেশ। আর নয়াপল্টন, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি যে সমাবেশগুলো করছে সেগুলো হচ্ছে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সমাবেশ। এই হচ্ছে আমাদের সমাবেশের সঙ্গে তাদের সমাবেশের পার্থক্য।’

সোমবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে’ বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে আর বিদেশিদের পদলেহন করে কোনো লাভ হয়নি। আমাদের নেতা-কর্মীরা সবসময় সতর্ক পাহারায়, সতর্ক অবস্থানে থেকে শান্তি সমাবেশ করার কারণে বিএনপি দেশে, ঢাকা শহরে অপচেষ্টা চালালেও অশান্তি সৃষ্টি করতে পারেনি।’

বিএনপির আন্দোলনে জনগণ নেই উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরে এসে বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো হয়েছে এবং র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ট্রেনিং দিতে চায়, সহায়তা করতে চায়। এটি হচ্ছে তাদের সর্বশেষ ঘোষণা। সুতরাং বিদেশিদের পদলেহন করে বিএনপির কোনো লাভ হয়নি। আজ বিএনপিসহ ৫৪ দল মিলে সমাবেশ করেছে, প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দল না ১৪ দল মিলে মঞ্চে ২৪ জন আর সামনে ছিল ১০ জন। আরও কয়েক জায়গায় বিএনপি সমাবেশ করেছে- দল হচ্ছে ১৪টা, মানুষ ১০০ জনের বেশি নেই। আগে বিএনপির জোটে ছিল ২২ দল। সেটা ভেঙে বানিয়েছে ১২ দল। দেশে জোট বড় হয় আর বিএনপির জোট ছোট হয়।’

বিএনপির উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল সরকার পদ্মা সেতু করতে পারবে না। এখন তারা গোপনে পদ্মা সেতু দিয়ে ওপারে যায়, আর ওপারে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়। করোনার টিকার বিরুদ্ধেও বিএনপি অপবাদ দিয়েছিল। পরে নেতারা গোপনে টিকা নিয়েছেন। মেট্রোরেল চালু হওয়ায় সমগ্র বাংলাদেশ খুশি, কিন্তু বিএনপি খুশি নয়। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি, কখন আপনারা মেট্রোরেলে চড়বেন।’

হাসপাতালে ভর্তি বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের রোগমুক্তি কামনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি কাগজে দেখলাম মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আর মির্জা আব্বাস সাহেব হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমি তাদের রোগ মুক্তি কামনা করি। মির্জা ফখরুল, গয়েশ্বর বাবু আর মির্জা আব্বাসসহ নেতাদের জন্য আমরা করোনার এক্সট্রা ডোজ রেখেছি। আপনাদের দরকার হলে এক্সট্রা ডোজ নেন। আপনারা সুস্থ থাকুন, সরকারের বিরোধিতা করুন। কিন্তু দয়া করে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাবেন না। তাহলে দেশের মানুষ অতীতের মতোই আপনাদের প্রতিহত করবে। আর নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনে না এলে অন্য কতগুলো দলের মতো আপনারাও হাওয়ায় মিলিয়ে যাবেন।’

দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে সাপের মতো। যখনই সুযোগ পাবে তখনই ছোবল মারবে। তাই সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো, সতর্ক থাকবো, জনগণকে সঙ্গ নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করবো। জাতীয় নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে এনে আবার শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে আমরা ঘরে ফিরে যাবো। তার আগে যাবো না।’

পাঠকের মতামত: