কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

আইনি প্রক্রিয়া শুরু, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে পরোয়ানার অপেক্ষা

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের রায় কার্যকরে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এখন ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের বিরুদ্ধে রায় কার্যকর করার জন্য আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে এবং আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই রায় কার্যকর করা হবে।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি প্রয়াত সিরাজুল হকের সহযোগী হিসেবে সেসময় কাজ করেছেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

তিনি বলেন, কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করার আগে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত থেকে তার নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করতে হয়। লাল শালু কাপড়ে মুড়ে সেই মৃত্যু পরোয়ানা পৌঁছে দেওয়া হয় কারাগারে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে মৃত্যু পরোয়ানা জারির আবেদন করব। তারপর সেটা কারাগারে যাবে। কারা কর্তৃপক্ষ এরপর কারাবিধি অনুযায়ী দণ্ড কাযর্কর করার উদ্যোগ নেবে।

এতদিন পলাতক থাকা মাজেদ কী এখন মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সে সময় অনেক আগেই পার হয়ে গেছে। আপিল করতে বিলম্বের জন্য কোনো যৌক্তিক কারণ মাজেদ দেখাতে পারবেন না।

সুতরাং কোনো সুযোগ তিনি পাচ্ছেন না। তবে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করে ফাঁসির দড়ি এড়ানোর একটি চেষ্টা তিনি করতে পারবেন, তা হল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা। আদালত মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে কারাগারে পাাঠালে কারা কর্তৃপক্ষ তা আসামিকে পড়ে শোনাবে। তখন আসামি বা তার পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির কাছে তার প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন।’

পাঠকের মতামত: