কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আইসক্রিমের দাম ৭ লাখ টাকা!

গরমে আরামের নাম হচ্ছে আইসক্রিম। অনেকেই চান আইসক্রিম খেয়ে শরীরটাকে একটু জুড়িয়ে নিতে। বয়স আট হোক বা আশি, আইসক্রিম খেতে কার না ভালো লাগে? কারও ভালো লাগে চকোলেট-ভ্যানিলা, কারও আবার ভালো লাগে ফুট্রস ফ্লেভার। তবে পরিচিত মিষ্টি ঠান্ডা খাবারটি খেতে গিয়ে যদি চমকে যান? আপনাকে যদি বলা হয়, এক আইসক্রিমেরই দাম ৭ লাখ টাকার বেশি (৬ হাজার ৬৯৬ ডলার), তাহলে চমকে উঠতেই হবে। এমন আইসক্রিম কিন্তু সত্যিই বাজারে রয়েছে। সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি দামের আইসক্রিম হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের খাতায়ও নাম লিখিয়েছে সেটি।

তবে বিশ্বাস না হলেও এটা সত্যি, আইসক্রিমের দাম ৭ লাখ! একটি মাত্র আইসক্রিম স্কুপের দাম যদি এত হয়, তাহলে অবাক তো হতেই হবে! গত বৃহস্পতিবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইসক্রিমটির নাম ‘বিয়াকুয়া’। জাপানের সিলেটো নামের এক সংস্থায় তৈরি ওই আইসক্রিম। তবে কী কারণে এমন আকাশছোঁয়া দাম আইসক্রিমের? সে কথাও জানিয়েছে সংস্থা নিজেই।

আইসক্রিমের স্কুপটি তৈরি করা হয়েছে বিশেষ কায়দায়। আসলে আইসক্রিমটি তৈরিতে এমন কিছু উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, যেগুলো চাইলেই হাতের নাগালে পাওয়া যায় না। আর উপাদানগুলোর দামও অনেক বেশি।

আইসক্রিম তৈরিকারক সংস্থাটি জানিয়েছে, সবচেয়ে দামি আইসক্রিম বানানোই শুধু সিলাটোর লক্ষ্য ছিল না। তারা চেয়েছিল, ইউরোপ ও জাপানে তৈরি বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিশেষ এক আইসক্রিমের রূপ দিতে। এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদাইয়োশি ইমাদাকে। তিনি জাপানের ওসাকা শহরের রেস্তোরাঁ রিভির প্রধান শেফ।

সংস্থাটি জানায়, এই আইসক্রিম তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে একধরনের ছত্রাক। এটা পাওয়া যায় ইতালিতে। এই ছত্রাকের প্রতি কেজির দাম ১৬ লাখ টাকার বেশি। আইসক্রিমটিতে রয়েছে সোনার পাতাও। এই সোনা খাওয়া যায়। এছাড়াও আইসক্রিমের মধ্যে রয়েছে হোয়াইট ট্রাফল ও প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি চিজ। প্রসঙ্গত ইতালির আলবায় ফলানো হয় হোয়াইট ট্রাফল যার দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লাখ টাকা প্রতি কেজি। এছাড়াও পারমিজিয়ানো রিজিয়ানো চিজও রয়েছে এই বিশেষ আইসক্রিমের উপকরণের তালিকায়। এছাড়াও ব্যবহার করা হয়েছে সেক লিস। যা আরেক অন্যতম দামি উপকরণ। তাই এমন উপকরণ দিয়ে তৈরি আইসক্রিমের যে একটু বেশি দাম হবে সেটাই তো স্বাভাবিক!

গত বুধবার টুইটারে আইসক্রিমটির একটি ভিডিও শেয়ার করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। সেখানে দেখা যায়, কালো একটি বাক্সের মধ্যে ছোট্ট বয়ামে রাখা আইসক্রিমটি। দেখতে বেশ নজরকাড়া। এমনকি আইসক্রিম খাওয়ার রুপালি চামচটির জন্য দেওয়া হয়েছে আলাদা একটি মোড়ক। ভিডিওটি এখন পর্যন্ত দেখা হয়েছে পাঁচ লাখবারের বেশি। লাইক এসেছে ২ হাজার ১০০ বারের বেশি। মন্তব্যও করেছেন অনেকে।

আইসক্রিমটি এখন সারা বিশ্বের আইসক্রিম প্রেমীদের নজর কেড়ে নিয়েছে।‌ শুধু তাই নয়, নজর কেড়েছে গিনিস বুকেরও। গিনিসের খাতায় নাম ওঠার পর সারা বিশ্বেই হইচই।

এদিকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েই থেমে থাকতে চায় না সিলাটো। তাদের লক্ষ্য আরও দামি আইসক্রিম তৈরি করা। ভবিষ্যতে এসব আইসক্রিম বানাতে নাকি ব্যবহার করা হবে বিরল মাছের ডিম ও শ্যাম্পেনের মতো সব উপাদান।

পাঠকের মতামত: