কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

আল-জাজিরার প্রতিবেদন কল্পনাপ্রসূত ও অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচারিত: আইএসপিআর

আল-জাজিরার প্রতিবেদন কল্পনাপ্রসূত ও অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচারিত: আইএসপিআর
কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত ’All the Prime Minister’s Men’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি সাজানো এবং দূরভিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

কল্পনাপ্রসূত ও অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচারিত এই প্রতিবেদন সর্ম্পকে সেনাসদর দপ্তর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো আইএসপিআরের প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এটি দেশকে অস্থিতিশীল করতে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অপপ্রয়াস মাত্র।

এই প্রতিবেদন তৈরির কুশীলব হলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত ডেভিড বার্গম্যান, মাদকাসক্তির অপরাধে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে বহিষ্কৃত ক্যাডেট জুলকারনাইন সায়ের খান (সামি ছদ্মনামধারী) এবং অখ্যাত নেত্র নিউজ-এর প্রধান সম্পাদক তাসনিম খলিল।

আইএসপিআর আরও উল্লেখ করেছে, অসৎ ও কলুষিত চরিত্রের অধিকারী এসব স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি আগে থেকেই তাদের নিজেদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে।

আল-জাজিরার মতো একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে মূলধারার সাংবাদিকতা থেকে বিচ্যুত ও অশুভ চিন্তাধারার এসব ব্যক্তির যোগসাজশের বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ও বোধগম্য নয়। দেশের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দাপ্তরিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত কার্যক্রমের ভিডিও ক্লিপ ও ছবি চাতুর্যের সঙ্গে সম্পাদনা ও অডিও সংযোজন করে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক ইসরায়েল থেকে ইন্টারনেট ও মোবাইল মনিটরিং সরঞ্জাম কেনা সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্যের’ তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। এতে বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যবহারের জন্য হাঙ্গেরির একটি কোম্পানি থেকে কেনা সিগন্যাল সরঞ্জামকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসরায়েল থেকে আমদানি করা মোবাইল মনিটরিং প্রযুক্তি হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এসব সরঞ্জাম কিংবা এই সংক্রান্ত কোনো নথিপত্রেই এগুলো ইসরায়েলের তৈরি বলে উল্লেখ নেই।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় ওই দেশ থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনা কিংবা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদনটিকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিভেদ ও দূরত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টির একটি অপপ্রয়াস হিসেবে মনে করে। বর্তমান চেইন অব কমান্ডের অধীনে এই সুশৃঙ্খল বাহিনী দেশের সংবিধান এবং সরকারের প্রতি সর্বদাই অনুগত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সরকারের প্রতি অবিচল শ্রদ্ধাশীল থেকে দেশ মাতৃকার উন্নয়ন ও সেবায় নিয়োজিত থাকার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ।

পাঠকের মতামত: