কক্সবাজার, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

আসল র‍্যাবের হাতে ৬ ভুয়া সদস্য গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের বায়েজীদ এলাকা থেকে র‌্যাব সদস্য পরিচয় প্রদানকারী সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
শনিবার (২ জুলাই) র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ২৬ জুন জাল দলিল স্ট্যাম্প মজুত এবং বিক্রি করার অপরাধে মো. ইদ্রিস পাটোয়ারী (৫৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৭। কিন্তু পরে রুবেল নামের এক ব্যক্তি র‌্যাবের ক্যাম্প কমান্ডারের ড্রাইভার ও র‌্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে ইদ্রিস পাটোয়ারীর স্ত্রীর মোবাইলে কল করে বলে— আপনার স্বামীর কাছে কোনো প্রকার দুই নম্বর জিনিস পাওয়া যায়নি, আপনার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া হবে। যদি আপনি অফিস খরচ ও স্যারের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দেন। কথা বলার একপর্যায়ে ইদ্রিসের স্ত্রী ৭০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়। এরপর ইদ্রিসের স্ত্রী প্রতারক রুবেলের দেওয়া ৫টি বিকাশ নম্বরে মোট ৭০ হাজার টাকা পাঠান।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ২৭ জুন ইদ্রিসের স্ত্রী ডাবলমুরিং থানা এবং র‌্যাব-৭ হাটহাজারী ক্যাম্পে খবর নিয়ে জানতে পারেন তার স্বামীর নামে জাল দলিল স্ট্যাম্প মজুত এবং বিক্রির দায়ে ডাবলমুরিং থানায় একটি মামলা হয়েছে। তখন ইদ্রিসের স্ত্রী প্রতারক রুবেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সে নানা তাল বাহানা করতে থাকে। ইদ্রিসের স্ত্রী খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন, মো. রুবেল হোসেন একজন সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এরপর ইদ্রিসের স্ত্রী বিষয়টি র‍্যাবকে জানায়।

মো. নুরুল আবছার বলেন, র‌্যাব বিষয়টি অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পায়। এরপর গোয়েন্দা তথ্য ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুক্রবার (১ জুলাই) ভোরে বায়েজিদ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মো. রুবেল হোসেনসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা র‍্যাবের নাম ব্যবহার করে ইদ্রিসের স্ত্রীর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা আদায় করেছে বলে স্বীকার করেছে। পরে প্রতারকদের কাছ থেকে প্রতারণার ৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

এই র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার মো. রুবেল হোসেন ও মো. মানিক হোসেন বিভিন্ন কৌশলে লোকজনকে মামলা থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায় করে আসছিল। মো. মানিক হোসেন খুলশী থানার একটি মাদক মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: