কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছে ৩ হাজার আমেরিকান

ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক সামরিক অভিযান গড়িয়েছে একাদশ দিনে। ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির হয়ে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন প্রায় ৩ হাজার মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী। রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনেীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশটিতে যান এসব স্বেচ্ছাসেবক।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ইউক্রেনের দূতাবাসের এক প্রতিনিধি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে এই তথ্য জানান বলে রবিবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক সামরিক অভিযান গড়িয়েছে একাদশ দিনে। রুশ সামরিক বাহিনীর ব্যাপক হামলার মুখে অনেকটাই বিপর্যস্ত পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি। এই পরিস্থিতিতে অভিযান শুরুর কয়েকদিনের মাথায় ইউক্রেনের হয়ে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়তে ইচ্ছুক বিদেশি স্বেচ্ছাসেবকদের দেশটিতে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এমনকি এসব স্বেচ্ছাসেবক ভিসা ছাড়াই দেশটিতে ঢুকতে পারবেন বলেও জানিয়েছিল কিয়েভ।

এছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনে সেনা না পাঠালেও সহায়তা করতে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়ে যাচ্ছেপশ্চিমা দেশগুলো। এর পাশাপাশি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ রুশ ধনকুবের ও অন্য নেতাদের বিরুদ্ধেও একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে তারা।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ঊর্ধ্বতন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর যুদ্ধে সাহায্য করার জন্য বিদেশি স্বেচ্ছাসেবকদের একটি ‘আন্তর্জাতিক সৈন্যদল’ গঠন করতে ইতোমধ্যেই আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়া কয়েকদিন আগে, জেলেনস্কি বলেছিলেন, প্রায় ১৬ হাজার বিদেশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হয়েছেন।

এদিকে ইউক্রেনের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে ফের পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। মাত্র সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও সেটিও শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা যায়নি।

যুদ্ধের দশম দিনে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের নিরাপদে উদ্ধারের জন্য যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করে।

ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া প্রতিশ্রুতি মতো মানবিক করিডর তৈরি করেনি এবং মারিউপোলের বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে যেতে বাধা দিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনবাসী শর্ত পালন করেনি, তারা কোনোভাবেই শান্তি বজায় রাখতে আগ্রহী নয়। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি বাতিল হতেই ফের হামলা শুরু করে রাশিয়া।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনের মারিউপোল ও ভলনোভাখা শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে যে সামরিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল তার অপব্যবহার করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এ কারণে ওই যুদ্ধবিরতি স্থগিত করে আবার সামরিক অভিযান শুরু করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: