কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ইয়াবা পাচারের মূল বাহক রোহিঙ্গা

সীমান্ত জেলা কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের মরণনেশা ইয়াবার সিন্ডিকেট হচ্ছে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের হাত ধরেই স্থানীয় অসাধু ব্যাপারিরা ইয়াবা ছড়িয়ে দিচ্ছে দেশ-বিদেশে।

উখিয়া টেকনাফ ইয়াবার প্রবেশপথ হিসাবে সারাদেশেই এখন পরিচিত। প্রবেশপথ হওয়ার পিছনে রয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা, স্থানীদের মাধ্যমে সারাদেশে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, প্রতিনিয়তে ইয়াবাসহ ধরা পড়তেছে রোহিঙ্গারা কেউ এলাকায় কেউ পাচারের সময় আবার কেউ গোপন সূত্রের মাধ্যামে। গত বুধবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর নতুনব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। (১৩ অক্টোবর) দশ হাজার পিস ইয়াবাসহ তিন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র‍্যাব-১৫। গত ২৮ সেপ্টেম্বর উনিশ হাজার নয়শত পিস ইয়াবাসহ মায়ানমারের নাগরিক কুতুপালং রেজিষ্টার ক্যাম্পে মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র জাফর আলম (২০) র‍্যাবের হাতে আটক হয় । এরকম প্রতিনিয়তে আটক হচ্ছে রোহিঙ্গা মাদকারবারীরা। আগের চাইতে অনেকটা কমে আসছে স্থানীয় মাদক কারবারির সংখ্যা।

স্থানীয়দের তথ্যমতে, রোহিঙ্গাদের কারণে দেশে ইয়াবা পাচার বন্ধ হচ্ছে না কারণ তারা মায়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে এসে এলাকায় অসাধু মানুষদের সাহায্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা পাচার করে যাচ্ছে।মিয়ানমার থেকে ইয়াবার যেসব চালান বাংলাদেশে ঢুকছে, সেসব চালানের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোহিঙ্গারা বাহক। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম সব পথ চেনা থাকায় তারা নিত্যনতুন রুট ব্যবহার করছেন। ইয়াবার বড় কারবারিরা রোহিঙ্গাদেরই বাহক হিসেবে ব্যবহার সর্বাধিক নিরাপদ মনে করছেন। নিজভূম ছেড়ে আসা রোহিঙ্গারাও কর্মসংস্থানের অভাবে ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়ছেন অল্প সময়ে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কামানোর লোভে। এমনকি রোহিঙ্গা নারীদের একটি বড় অংশও ইয়াবার কারবারে জড়িয়ে পড়ছেন। এর মধ্যেই ইয়াবা কারবারে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পভিত্তিক বিভিন্ন সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এসব রোহিঙ্গার কারণেই ইয়াবার পাচার রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের মদদ দাতা হিসাবে স্থানীয় কিছু লোভনীয় মানুষ কাজ করছে যা দেশের যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঢেলে দিচ্ছে।

স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষক বলেন, রোহিঙ্গাদের অপকর্মের কোন শেষ নেই তাদের কারণে নষ্ট হচ্ছে এলাকার শিক্ষিত সমাজ। দেখা যায় এলাকার সচেতন মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষিত যুবক তাদের প্ররোচনায় পড়ে লোভে বিভিন্ন কারাপ কাজে লিপ্ত হচ্ছে, মায়ানমারের যত চোরাচালান পন্য,ইয়াবাসহ নানান অবৈধ জিনিসের ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে নিজেদের সুবিধা ভোগ করতে। যার ফলশ্রুতিতে পাচ্ছে এলাকা ও বংশের বদনাম।

পাঠকের মতামত: