কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় বন বিভাগের অভিযানে ১৪ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

কক্সবাজারের উখিয়ায় বনবিভাগের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনায় হানা দিয়েছে বনবিভাগ। উখিয়া রেঞ্জ ও ইনানী রেঞ্জ পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দিনব্যাপী উখিয়া রাজাপালং নিউ ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম এর নেতৃত্বে বন বিভাগের জায়গায় গড়ে উঠা ৩ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় এবং অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন,”অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উখিয়া বনবিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় উখিয়া পাতাবাড়ী আশীষ দাশ, শীলের ছড়া মোস্তাক ও নিউ ফরেস্ট অফিসের সামনে খোকনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। উখিয়া উপজেলার সকল অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, বিট কর্মকর্তা রাকিব হোসেন রাজু, বজলুর রশিদ, দুলাল চন্দ্র, সাজ্জাদ।

অপরদিকে একইদিন বিকেলে ইনানী রেঞ্জের জালিয়াপালং বন বিটের আওতাধীন জুম্মাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১টি অবৈধ স্থাপনা (ঘর) উচ্ছেদ করা হয়। জালিয়াপালং বনবিট কর্মকর্তা মো: ইসরাঈল হোসাইন এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

তিনি বলেন, অভিযানে ২০১০-২০১১ সনের ৩০ হেক্টর, ২০১৪-২০১৫ সনে সৃজিত সামাজিক বনায়ন থেকে ৮ হেক্টর বনভূমি দখল মুক্ত করা হয়। জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।তিনি আরো বলেন, এ ধরণের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। জবরদখলকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দখলমুক্ত জায়গায় চলতি বর্ষা মৌসুমে চারা রোপন করা হবে। অভিযানে অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে, স্থানীয়রা জানায়,” কক্সবাজারের দক্ষিণে উখিয়া কলেজের পর থেকে কুতুপালং পর্যন্ত জায়গায় আরাকান সড়কের পাশে উদ্বাস্তু হয়ে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে। তাদের একমাত্র বাসস্থান বনবিভাগের জায়গা। তবে অবৈধভাবে নতুন স্থাপনা গড়ে উঠলে তা বনবিভাগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে গুড়িয়ে দিচ্ছে বলে জানান তারা।”

পাঠকের মতামত: