কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

উখিয়ার জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী এগিয়ে যাচ্ছেন স্বমহিমায়

তৃণমূল থেকে শুরু করে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা। সর্বত্রই জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর দক্ষ নেতৃত্বের ছোঁয়া। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে গুছিয়ে একটি সাজানো সংগঠনে পরিণত করেছেন তিনি। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়নে। একের পর এক বৈঠক করেছেন। দলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেছেন ক্লান্তিহীন।

সিনিয়ার, জুনিয়ার, কর্মী সমর্থক সবার সাথে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রেখে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগকে তিনি নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। এখন আর আগের সময় নেই, এখন এক ঘন্টার ঘোষণায় রাজপথ মুখরিত হয় মিছিলে, পথসভা হয় লোকারণ্য। এভাবেই উখিয়ার জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী এগিয়ে যাচ্ছেন স্বমহিমায়।

দেশের সীমান্ত জনপদ কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা। সীমান্তের এ জনপদে তৎকালীন বিএনপি সরকারের স্থানীয় নেতাদের টানা শাসনে অস্তিত্ব হারিয়েছিল বর্তমান সরকারের আওয়ামীলীগ। রাজনৈতিক মাঠে ৪ বার সাংসদ নির্বাচিত হয় বিএনপির সাবেক এমপি শাহাজাহান চৌধুরী। উপজেলা পর্যায়ে শাহাজাহান চৌধুরীর ভাই শাহজালাল চৌধুরী ও সরওয়ার জাহান চৌধুরী বারবার নির্বাচিত হয়। পরে রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে খ্যাত রাজাপালং ইউনিয়নেও তাদের পরিবারের কামাল উদ্দিন চৌধুরী একচেটিয়া টানা ৪ বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক সংকটে পড়ে কক্সবাজারের বিশেষ অঞ্চল উখিয়ায়। কারণ কক্সবাজার ৪ আসনের মধ্যে দু পরিবারের রাজনীতি এখানকার পুরোনো ইতিহাস। একদিকে শাহাজাহান চৌধুরীর পরিবার অন্যদিকে নুরুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশ ঠান্ডা মিয়া চৌধুরীর পরিবার। কালের বিবর্তনে ভাটা পড়া আওয়ামীলীগের রাজনৈতিকে চাংগা করতে মাঠে নামেন তরুণ প্রজন্মের নেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। তিনি প্রথমে কক্সবাজার সরকারি কলেজের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন ।পরবর্তীতে ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত উখিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ।

২০১৩ সালে কাউন্সিলদের প্রত্যেক ভোটে রাজপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি,পরে ২০১৪ সালে ৬ ই ডিসেম্বর পুরো উপজেলা কাউন্সিলদের প্রত্যেক ভোটে উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের মনোনীত নৌকা প্রতিক নিয়ে তিন-বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। স্বাধীনতার পর থেকে এ জনপদের রাজাপালং ইউনিয়নে জনগণের প্রতক্ষ্য ভোটে আওয়ামীলীগ থেকে প্রথমবারের মতো জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। সেই থেকে শুরু, এখনো চলছে প্রত্যন্ত জনপদে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর অদম্য পদচারণা, এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে দুর্দিনে আস্থার প্রতীক তিনি, যেকোনো বিয়ে বা অনুষ্ঠানে সবর উপস্থিতি থাকে তার। রাজাপালং ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন তিনি, একাধারে উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকায় সরকার ও দলের পক্ষে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন তিনি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে যাচ্ছেন তিনি। যার ঘর নেই তাকে ঘর দিচ্ছেন, যেখানে ব্রিজ-কালভার্ট নেই সেখানে ব্রিজ- কালভার্ট করে দিচ্ছেন, যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে দিচ্ছেন। যেখানে রাস্তা নেই সেখানে রাস্তা করে দিচ্ছেন। উখিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন কোন রাস্তা নেই যেখানে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর নেতৃত্বের ছোঁয়া লাগেনি। তাইতো উখিয়ার জনগণের মধ্যে কারো কাছে তিনি তরুণ সমাজের আইডল আর কারো কাছে তিনি দুঃখী গণমানুষের নেতা হিসেবে পরিচিত।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, সেবা ও সততার ব্রত নিয়ে দল এবং জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব নিষ্টার সাথে পালন করার চেষ্টা করি সময়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, নেত্রীর একজন কর্মী হিসেবে দল ও জনতার স্বার্থে যেকোনো ভালো প্রয়াসে আমৃত্যু নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।”

পাঠকের মতামত: