কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

উখিয়ার রোহিঙ্গা ছৈয়দ নুরের এনআইডি বাতিল করতে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণ মারা এলাকার ০৩ নং ওয়ার্ডের কথিত রোহিঙ্গা ডাঃ ছৈয়দ নুরের পুরো পরিবার এনআইডি ও জন্মনিবন্ধন বাতিল করতে প্রধান নির্বাচন কমিশন,নির্বাচন কমিশন সচিব,প্রধান পরিচালক এন.এস.আই,ডি.জি.এফ.আই,জেলা প্রশাসক কক্সবাজার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তা উখিয়া বরাবরে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,কথিত ডাঃ ছৈয়দ নুর ও তার জামাতা আনোয়ারের পরিবার পুরাতন রোহিঙ্গা।মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে অস্থায়ীভাবে হরিণমারায় বসবাস করে আসছিলো পরিবারটি পরে কৌশলে বাংলাদেশী এনআইডি কার্ড করে শশুর-জামাই।এই আইডি কার্ড ব্যবহার করে রোহিঙ্গা পরিবারটি সরকারি বন ভুমি দখলসহ এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে।যাহা স্থানীদের জনগোষ্ঠীর অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সচেতন মহল।

স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম বলেন,রোহিঙ্গা ডাক্তার ছৈয়দ নুর ও তার জামাতা উভয় রোহিঙ্গা হওয়ার পরও কালো টাকার প্রভাবে পুরো পরিবার এনআইডি ও জন্মনিবন্ধন করেছে।তাদের আইডি কার্ড বাতিল করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানান্তর করলে হরিণ মারা এলাকাটি কলঙ্ক ও সন্ত্রাসবাদমুক্ত হবে।
হরিণ মারার প্রবীণ মুরব্বি কালা মনু বলেন,কথিত রোহিঙ্গা ডাঃ ছৈয়দ নুর ও তার জামাতা অবৈধ কালো টাকা দিয়ে উখিয়ার কুতুপালং, রত্নাপালং ও হরিণ মারা এলাকায় রোহিঙ্গা হওয়ার সত্বেও কোটি টাকার দালান-কোঠা ও অন্যান্য সম্পদ গড়ে তুলেছে।এক কাপড়ে পালিয়ে আসা জামাই-শশুরের সম্পদ বিবরণ তদন্ত করে বাজেয়াপ্ত ও অভিযুক্তদের তালিকা হালনাগাদ করে দ্রুত আইডি কার্ড বাতিল করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইরফান উদ্দিন বলেন, অভিযুক্তদের তালিকা হালনাগাদ করে বিশেষ কমিটি গঠন করে কমিটির তদন্ত শেষে রোহিঙ্গা প্রমাণিত হলে আইডি কার্ড বাতিল করা হবে। কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের স্বার্থের কারণেই রোহিঙ্গারা তথ্য গোপন করে ভোটার হওয়ার সুযোগ পেয়েছে বলে তিনি জানান। সূত্র কক্স৭১

পাঠকের মতামত: