কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় অস্ত্র ও গুলিসহ ‘আরসা’র ৬ সদস্য আটক

কক্সবাজারে উখিয়ায় একটি আশ্রয় শিবির থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ ছয় রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন, যাদের মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-আরসা’র সদস্য বলছে র‍্যাব।

র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের ঊর্ধ্বতন সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অভিযান চালানো হয়।

আটকরা হলেন ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কে-১২ ব্লকের আমির হাকিমের ছেলে মোহাম্মদ আরব (২৪), কে-৬ ব্লকের আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোহাম্মদ নূরু (৩১), এফ-২৩ ব্লকের মোহাম্মদ ছালেহ-এর ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছ (৩৩), এম-১৯ ব্লকের আব্দুল গফ্ফারের ছেলে মোহাম্মদ হারুন (২৮), এম-১১ ব্লকের জাহিদ হোসেনের ছেলে মো. মীর কাশিম ওরফে হামিদ হোসেন (২২) ও এম-১৯ ব্লকের বাসিন্দা প্রয়াত আবু সিদ্দিকের ছেলে হাফিজুল আমীন (২৫)।

র‌্যাব কর্মকর্তা আবু সালাম বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ই-ব্লক এলাকায় অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করার খবর আসে। এরপর র‍্যাব ও এপিবিএন যৌথভাবে অভিযান চালায়।

“আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০/১৫ জন সন্দেহজনক ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া দিয়ে ছয় জনকে আটক করা সম্ভব হয়।”

আটকদের দেহ তল্লাশি করে দেশে তৈরি একটি বন্দুক ও দুইটি গুলি পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

আটকদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তির বরাতে র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, “রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আধিপত্য বিস্তার এবং বিভিন্ন অবৈধ সুবিধাদি আদায়ের জন্য আটকরা অবস্থান করছিল। তারা মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা’র সক্রিয় সদস্য।”

আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।

পাঠকের মতামত: