কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় আমন চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি লঘু চাপের কারণে সাগর উত্তাল ছিল। আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে উখিয়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় আমন ফসল সহ শাক সবজ্বি চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকদের কাছ থেকে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে উপজেলার নিম্নাঞ্চল সমূহ প্লাবিত হয়ে পড়ার কারণে আমন ধানে পচন ধরার আশংকা করছে কৃষকেরা। তবে কৃষি কর্মকর্তা বলছে বয়ে যাওয়া বৃষ্টিপাতে ধানের তেমন কোন ক্ষতি হবে না।

বন্যাপ্রবণ এলাকা এ উপজেলায় পালংখালী ইউনিয়ন ঘুরে স্থানীয় কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা শুষ্ক মৌসুমে নাফ নদীর বাধ দিয়ে চিংড়ি ও বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য চাষ করে জীবন জীবিকা নিবার্হ করেন। আবার একই জমিতে বর্ষা মৌসুমে ধান চাষ করে থাকেন। গত কয়েকদিনের ধারাবাহিক বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে প্রায় ১ হাজার হেক্টর চিংড়ি ঘেরে রোপিত আমন চাষ ডুবে গেছে। দ্রুত পানি নিস্কাষণের ব্যবস্থা করা না হলে ধানে পচন ধরার আশংকা রয়েছে।

আনজুমান পাড়া গ্রামের কৃষক ছালামত উল্লাহ জানান, সে ২ একর জমিতে আমন চাষ করেছেন। ধানে থোর পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ বৃষ্টিতে ধান চাষ ডুবে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শংকা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নাফনদীর বিভিন্ন ভাঙ্গন থেকে লবণাক্ত পানি ডুকার কারণে প্রায় হাজারেরও অধিক জমি প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব জমিতে প্রায় ৫শতাধিক বর্ষা চাষী বছর বছর চাষাবাদ করে আসছে। এসব চাষাবাদে ঠিকমত উৎপাদন না হলে কৃষকদের সারা বছর দুভোর্গ পোহাতে হয়।

পালংখালী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আবছার জানান, রোহিঙ্গা অধ্যুাষিত এলাকা হওয়ার সুবাদে এখানকার অধিকাংশ জমি পতিত রয়ে গেছে। রোহিঙ্গাদের বজর্য, বাসস্থান ও চলাচলের পথ হিসাবে ব্যবহৃত হওয়ায় এসব জমিতে বর্তমানে আমন চাষাবাদ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে একাধিক জমিজমা খালি পড়ে রয়েছে। এমতাবস্থায় গত কয়েকদিনের বর্ষণে নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়ে কৃষকদের আরো ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।
কৃষি কর্মতর্কা প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান, চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৪শ’ পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত কয়েকদিনের বর্ষণে আমনের তেমন কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তিনি বলেন, আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব দেখা দিলে ধানে এক প্রকার গুনগুনি পোকায় আক্রমণ করে। যার ফলে আমনের আশাতীত ক্ষতি সাধণ হয়। তা থেকে পরিত্রাণ পেতে গত এক সপ্তাহ ধরে মাইকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে গুনগুনি পোকা থেকে পরিত্রাণের উপায় ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: