কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

খুনি স্বামী আটক

উখিয়ায় পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে স্ত্রীকে খুন করে ৯৯৯-এ ফোন

মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া বার্তা ডটকম::

পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে স্ত্রীকে ঠান্ডা মাথায় খুনের পর লাশ টয়লেটে রেখে ৯৯৯ এ ফোন করেন স্বামী। পুলিশ বলছে মূলত নিজের অপরাধ আড়াল করতেই জাতীয় জরুরি সেবার আশ্রয় নেন স্বামী বিল্লাল হোসেন (২৪)। তবে শেষ রক্ষা হয়নি খুনির। পুলিশের জেরার মুখে খুনের দায় স্বীকার করে নির্মম এ খুনের বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারী) রাতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের জামতলী এলাকার একটি বাসা থেকে গৃহবধূ ফাতেমা খাতুন (২৩) লাশ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রহিম পুলিশকে জানায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ভালোবেসে বিয়ে করেন দুজনই। বছর আগে রিনির সাথে তার বিয়ে হয়। দুজনেই পেশায় নার্স এবং এনজিও সংস্থা এম.এস.এফ উখিয়া হাসপাতাল চাকরি করেন।

স্বামী-স্ত্রী দুজনই পালংখালী ইউনিয়নের জামতলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।চাকুরী করার মধ্যে দিয়ে পরকীয়া সম্পর্কের কারণে অবিশ্বাস করতে শুরু করে। এই অবিশ্বাসের কারণে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী বিল্লাল হোসেন তার স্বী ফাতেমা খাতুনকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বাথরুমে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে৷ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে৷

তাদের দেশের বাড়ি, জামালপুরের ঘোড়ধাপ গ্রামের আলাল উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা খাতুন(২৩) এবং টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার জোড়দিঘী গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন(২৪)৷

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা খুব দুঃখজনক। তবে স্বামী বিল্লাল হোসেন ও স্ত্রী ফাতেমা খাতুনে মতো শতশত এনজিও কর্মী আমার ইউনিয়নে বাসা ভাড়া থাকছে। স্থানীয়দের ছাড়াই করে উত্তরবঙ্গ থেকে লোক এনে এখানে চাকরি করাচ্ছে একটি মহল। মোটা অংকের বেতন পাওয়াতে তারা বিভিন্ন অপকর্ম থেকে শুরু করছে উত্তরবঙ্গের এনজিও কর্মীরা। ফলে এমন ঘটনা হচ্ছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, রাত আনুমানিক ১২ টায় স্বামী বিল্লাল হোসেন ও স্ত্রী ফাতেমা খাতুনে মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে ঠান্ডা মাথায় খুন করার পর বিল্লাল হোসেন ৯৯৯ এ ফোন করে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশের সাহায্য চান। পুলিশ দ্রুত তার বাসায় গিয়ে ফাতেমা খাতুন দেখতে পায় টয়লেটে। পরে পুলিশ গিয়ে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে এবং বিল্লাল হোসেন পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর স্বীকার করেন পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে স্ত্রীকে খুন করে৷
এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা আলাল উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বলেও জানান তিনি৷

পাঠকের মতামত: