কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য..

উখিয়ায় বর্জ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনায় উদাসিন প্রশাসন 

উখিয়া বার্তা রিপোর্ট:: 
উখিয়ার হাট-বাজার, স্টেশন সহ ব্যস্ততম এলাকায় বিদ্যমান ব্যবসায়ী ও ক্রেতা বিক্রেতাদের উচ্ছৃষ্ট বজর্য ফেলার মতো প্রশাসন নীতিগত সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। এমতাবস্থায় হাটবাজার ইজারাদার তাদের বর্জ্য সুনির্দিষ্ট কোন জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে লোকালয়ের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে বিষাক্ত বজর্য রাখছে। এতে করে এলাকার সার্বিক পরিবেশ বিপন্নের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন পরিবেশবাদী সচেতন মহল। প্রশাসন বলছে, জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফেলা বজর্য রাখার মতো একটি স্থায়ী জায়গা বরাদ্ধ দেওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সরেজমিন ঘটনাস্থল উখিয়ার ব্যস্ততম সড়ক ফরেষ্ট রোড ও উপজেলা গেইটের সামনে গিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাটবাজার, স্টেশন ও লোকালয়ে বিদ্যমান বাসা বাড়ির নানা রকম উচ্ছৃষ্ট বিষাক্ত বজর্য ফেলা হচ্ছে। দীর্ঘ স্থায়ী ফেলে রাখা এসব বজর্য থেকে মশা, মাছি উৎপত্তি ও বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছে বলে দাবী করে স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতা নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে লোকালয়ে বজর্য ফেলা হচ্ছে।
এসব বজের্যর কারণে এলাকার পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে আশংকা জনক। তিনি অবিলম্বে বজর্য সংরক্ষণের সুনির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
রাজাপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সরওয়ার কামাল পাশা বলেন, এখানে প্রায় ২ শতাধিক এনজিও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেবা কার্যক্রমে জড়িত। এসব এনজিওর কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত সড়ক পথে আসা যাওয়া কালে এসব বজর্য দেখলেও না দেখার ভান করে
চলে যাচ্ছে। অথচ তারা ইচ্ছা করলে যেকোন মুহুর্তে এসব বজর্য অপসারণ সহ একটি বজর্য শোধানাগারের জন্য প্রকল্প হাতে নিতে পারে।
উখিয়া বঙ্গমাতা ফলিজলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহাব উদ্দিন জানান, কলেজে আসার এক মাত্র সড়ক পথ ফরেষ্ট রোড ব্যবহার করে তার শিক্ষাঙ্গনে শত শত ছাত্রী প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করছে। এসব ছাত্রীদের অভিযোগ পথিমধ্যে বিশাল বজের্যর স্তুপ থেকে নির্গত হওয়া পচাঁ দুর্গন্ধে তাদের শারীরিক অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ছে।
এব্যাপারে কলেজ গভর্ণিং বডি’র সাথে আলোচনা করে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া
হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, যে দুটি স্থানে নিয়মিত বজর্য ফেলা হচ্ছে এতে বৃহত্তর লোকজন জড়িত। এসব বজর্য সংরক্ষণ বা নির্ধারিত স্থানে ফেলার জন্য উপজেলা পরিষদে অতিরিক্ত কোন বরাদ্ধ না থাকলেও তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আশ্বস্ত করেছেন।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী এসব বর্জ্যের ব্যাপারে অবগত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, পরিত্যক্ত একটি স্থানে বর্জ্য রাখার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে তা কার্যকর করা হবে।

পাঠকের মতামত: