কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

উখিয়ায় মাছ ব্যবসার আড়ালে জমজমাট ইয়াবা বানিজ্য !

সদরের প্রধান বাজার উখিয়া দারোগা বাজারে মাছ ব্যবসার আড়ালেই চলছে রোহিঙ্গা ৩ ভাইয়ের ইয়াবা বানিজ্য। ক্যাম্পের বাজার গুলোতেও রয়েছে তাদের মাছের দোকান। বিভিন্ন স্থানে রয়েছে মাছের আড়ত। মূলত শুটকি মাছের ব্যবসাকে পুঁজি করে তারা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা বানিজ্য এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, মিয়ানমার থেকে অবৈধ ভাবে পালিয়ে এসে মোহাম্মদ শফির ছেলে একরাম উল্লাহ(৩০), রশিদ উল্লাহ (৩৫), আমান উল্লাহ (২২) রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসে জায়গা কিনে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের টাইপালং গ্রামে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা আগমনের সাথে সাথে এমরাম ও তার দুই ভাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুকনো মাছের ব্যবসা শুরু করে। মুলত শুটকি ব্যবসার আড়ালে ক্যাম্পে তারা ইয়াবা ব্যবসা শুরু করে। ক্যাম্প ছাড়িয়ে ব্যবসা বিস্তৃত করে উখিয়া কক্সবাজারে। উখিয়া বাজারে তিনটি শুটকি মাছের দোকান ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি আড়ত। কক্সবাজারেও তার চাচাত ভাইদের মাধ্যমে ৫ টি দোকান পরিচালনা করে যাচ্ছে। কক্সবাজারের কাজী পিউর ফিশ নামক গুদামে কোটি টাকার শুকনো মাছ বাজার জাত করার জন্য মজুদ করে রেখেছে একরাম সিন্ডিকেট।

বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের নাগরিক হওয়ার সুবাদে ৩ ভাই রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে ইয়াবার চালান ক্যাম্পে নিয়ে এসে শুকনো মাছের কাটুনে করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে চালান করে বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক ।
অতিষ্ট হয়ে মহা পুলিশ পরিদর্শক বরাবরে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিল। এর পরেও তাদের বিরোদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না হওয়ায় এলাকার মানুষ সংক্ষিত।
তারা তিন ভাই সরাসরি মায়ানমারের নাগরিক হওয়ায়ার সুবাদে স্থানীয় ইয়াবা গডফাদারদের সাথে গড়ে তুলেছে ইয়াবা ব্যবসার বিশাল সিন্ডিকেট। যার ফলে মুখ খুলছে না কেউই। ৩-৪ বছর আগে ৫-১০ হাজার টাকা তাদের দৃশ্যমান মুলধন হলেও এখন ইয়াবার বদৌলতে মুলধন বেড়ে কোটি কোটি টাকায় উন্নতি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাদক বিরোধী যুব প্রতিনিধি বলেন, এইসব অবৈধ ছদ্ম বেশি ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী প্রয়োজন। এসব ইয়াবা ডিলারদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোর্শেদ জানান, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে উখিয়া থানা পুলিশ। কেউ মাদক ব্যবসা করে পার পাবে না। সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে৷

পাঠকের মতামত: