কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় মাসিক মাসোহারায় পাচার হচ্ছে কাঠ, মাটি ও বালি: হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মু: শফিউল আলম নামে রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্বে থাকলেও রেঞ্জের ৮টি বনবিটের পাহাড় কাটা, মাটি পাচার, অবৈধ বালি পাচার, অবৈধ করাত কল, সরকারি বনভুমির জায়গা বিক্রি, অবৈধ স্থাপনা নির্মান, ঘুমধুমের ইট ভাটায় সামাজিক বনায়নের কাঠ পাচার থেকে শুরু করে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি সহযোগিতা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে উখিয়া রেঞ্জের বিতর্কিত ও শীর্ষ দুর্নীতিবাজ বিট কর্মকর্তা বজলুর রশিদ। আর এতে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। কিন্তু দেখার কেউ নেই?

সরজমিন, জারাইলতলী ও হরিণমারা হয়ে গহিন অরণ্যে ঘুরে দেখা গেছে, যতই বনের দিকে যাই, কাঠ চোর সিন্ডিকেটের লোকজন নির্বিচারে সামাজিক বনায়নের কাঠ নিধনের দৃশ্য দেখা যায়। জানতে চাইলে বলেন, কথা কম কাজ বেশি?
এলাকার বেশ কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফলিয়া পাড়া গ্রামের মৃত আসাদ আলীর ছেলে এলাকার চিহ্নিত কাঠ চোর মনক্রু, চেংখোলা এলাকার কবির আহম্মদের ছেলে চিহ্নিত ইয়াবা কারবারী আলমগীর ও একই এলঅকার শামশুল আলমের ছেলে জমিরের নেতৃত্বে একটি বৃহত্তর সিন্ডিকেট উখিয়া সদর বনবিট ও দোছড়ি বনবিটের গহিন অরণ্যে থেকে সামাজিক বনায়নের কাঠ কেটে ঘুমধুমে বেড়ে উঠা আবুল কালাম মেম্বার, সাগর, এডভোকেট শহিদ, ফজল মেম্বার , বাদশা মেম্বার, মনজুর, হারেস, সাজু বড়ুয়া, অনিত্য বড়ুয়া, ফরিদ, ফজলুল করিম মেম্বারের ইট ভাটায় পাচার করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ধ্বংস করছে সরকারের কোটি কোটি টাকার বনসম্পদ। কিন্তু দেখার কেউ নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, কাঠ চোর সিন্ডিকেটের লোকজন বিট কর্মকর্তা বজলুর রশিদকে মাসিক মাসোহারা দিয়ে এ নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।

ইট ভাটার মালিক আবুল কালাম জানান, আমি কাঠ নিচ্ছি টাকা দিয়ে, তারা কাঠ কোথায় থেকে আনতেছে সেটা আমার জানার বিষয় নই।

অভিযুক্ত মনজুর বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠফোনে বারবার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত: