কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ..

উখিয়া ইয়াবার ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বশিরের বিরুদ্ধে মামলা ভিন্ন খাতে নিয়ে নিরহদের জড়ানো হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক::
উখিয়ায় এপিবিএন পুলিশ কর্তৃক ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায়  ছাত্রলীগ নেতা বশির সহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ী কৃত মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে নিরহ ব্যক্তিদের কে জড়ানোর জন্য অপচেষ্টা শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উখিয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে  সিএনজি মালিক ও আবু সামার পুত্র  আবুল বশর বলেন গত ৫ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে নিয়োজিত এপিবিএন পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বশির (প্রকাশ গুরু বশির) সহ ৩ জন ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করাহয়। যার মামলা নম্বর ১৪ তারিখ ৬/২/২০২১।
এপিবিএন পুলিশের  সাব ইন্সপেক্টর মোজাহেরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়,  উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ ফলিয়া পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা  মোহাম্মদ বশির একই এলাকার আমীর হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও ডেইল পাড়া গ্রামের ছরুত আলমের পুত্র মোহাম্মদ হানিফ।
সংবাদ সম্মেলনে আবুল বশর আরও  বলেন, নেতা বশির ও তার ভাগিনা মামলার আসামি হানিফ দীর্ঘ দিন ধরে ইয়াবা পাচারে জড়িত। ঘটনা দিন  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোগী দেখতে যাওয়ার কথা বলে আমার সিএনজি গাড়ি নিয়ে যায়। ড্রাইভার ছিল ইব্রাহিম। সেখানে  এপিবিএন পুলিশের জালে ধরা পড়ে  ইয়াবার চালান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলাটি ভিন্ন  খাতে প্রবাহিত করে আমাদের কে জড়ানোর জন্য মিথ্যা অপ প্রচার সহ মিশন নিয়ে নেমেছে। শপথ করে বলছি  আমি কখনো ইয়াবা কারবারে জড়িত ছিলাম না।
আটক নিরহ ড্রাইভার ইব্রাহিমের বোন ও ভাই সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন আমাদের ভাই নির্দোষ। ইয়াবা সিন্ডিকেট বশির ও হানিফ সিএনজি গাড়ি ভাড়া করে আমার ভাইকে নিয়ে যায়। তাদের কারনে নিরাপরাধ ইব্রাহিমের জেলের ঘানি টানছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে  সিএনজি চালক ইব্রাহিমের মুক্তির দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা।

পাঠকের মতামত: