কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়া-টেকনাফের মানুষ বিপর্যস্ত, পার করছেন কঠিন সময়

এম ফেরদৌস ( উখিয়া কক্সবাজার) ::

এই করোনাকালীন সংকটয় মুহুর্তে ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করতেছেন উখিয়া টেকনাফের খেটে খাওয়া,শ্রমীকসহ অসংখ্যা ছোট বড় ব্যবসায়ি।

উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গারা আসার পরে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য তারা নিজেদের খেয়াল-খুশি মাফিক সব কিছু করেই যাচ্ছে।নেই কোন শৃঙ্খলাবোধ, খুনখারাবি, মারামারি রাহাজানির খবর নিত্যদিনের। ধ্বংশ করেছে নিরাপত্তা ও পরিবেশ। বনাঞ্চল পাশাপাশি দখলে নিয়েছে স্থানীয়দের প্রধান আয়ের উৎস শ্রমবাজার। এসব নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও অস্থিরতা বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে। যেকোনো সময় আইনশৃঙ্খলা খাতে বড় বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কাও রয়েছে ।অনেকেই বলছেন, উখিয়া-টেকনাফে পরিবেশ, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসহ সর্বক্ষেত্রে বিপর্যয় ডেকে এনেছে।

এদিকে মহামারী করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ঘোষিত চলমান লকডাউনের শেষ দিন ৩০ মে পর্যন্ত কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছেন প্রশাসন।

এ ঘোষাণাকৃত কঠোর নির্দেশনা অনুযায়ী,, উখিয়া টেকনাফে, কেউ বাইরে যেতে পারবে না, বাইরে থেকে কেউ প্রবেশও করতে পারবে না পাশাপাশি জরুরি সেবা, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গনপরিবহন । অন্যদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প একেবারেই লকডাউন করা হয়। এনজিও কর্মী ও কিছু সংখ্যাক জরুরী দ্রব্যাদি ছাড়া সব ধরণের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়।

রোহিঙ্গা ও স্থানীয় তুলনামূলক জনসংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ায় জিনিস পত্রের দাম কয়েকগুণ বেড়ে প্রয়োজনীয় দ্রাব্যদি কিনে পরিবারের তৃপ্তি মেঠাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে পরিবারের যোগানদাতাদের। চরম দুর্ভোগে জীবন যাপন করছেন উখিয়া টেকনাফের মানুষ ।

অন্যদিকে,কক্সবাজার সদর ও উখিয়ার প্রধান ব্যবসা পর্যটন সেক্টর বন্ধ। এতে পর্যটন এলাকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি দোকানদার সহ বিভিন্ন হোটেল মোটেল ব্যবসায়ির ইনকাম জিরো। ফলে তাদের মাঝে নেমে এসেছে হতাশ।
সাগরে মাছ ধরা বন্ধ ৬৫দিনের জন্য। এতে সকল জেলে পল্লী গুলো অনায়াসে চরমদশায় দিন কাটাচ্ছে।
এর আগেইও ইয়াবার নাম দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ ধরা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল নাফ নদী সহ উখিয়ার সকল মাছ ধরার পয়েন্টগুলো।
সেই থেকে ২ বছর ধরে এখন পর্যন্ত বেকার হয় নাফ নদীর ৩০ হাজার জেলে। যারা সৈকতে ঝিনুক শামুকের ব্যবসা করতো তারাও একেবারে নিঃস্ব।

বহুল উৎপাদনকৃত টেকনাফ লবণ মাঠের ও বেহাল দশা। দাম পানির চেয়েও কম। এক মন লবণের দাম ১২০টাকা। এতে কৃষকের আয় কম খরচ বেশি বলে তাদের মনে হতাশ।

সচেতন মহলের মন্তব্য,,, এভাবে চলতে থাকলে উখিয়া টেকনাফ মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ হবে। এখন ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে উখিয়া টেকনাফের মানুষ।

পাঠকের মতামত: