কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়া টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধ ছাড়া দু-মাসে শতকোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার

বন্দুকযুদ্ধ ছাড়া উখিয়া টেকনাফে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা। বিগত দুই মাস আগেও ছিল ইয়াবা উদ্ধারের নামে প্রতিনিয়ত বন্দুকযুদ্ধের প্রতিযোগিতা। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার পর একটিও বন্দুকযুদ্ধ ঘটেনি কিন্তু অনেক মাদক কারবারি আটক হয়েছে,উদ্ধার শত কোটি টাকার ইয়াবা নেতৃত্ব ছিল র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন ( র‍্যাব) ও ব্যাটালিয়ন ( বিজিবি) 

জানা যায়, (৩১ জুলাই) রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ মোহাম্মদ খান। এরপর থেকে প্রায় ২ মাস হতে চললেও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে উখিয়া-টেকনাফ বন্দুকযুদ্ধের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবুও উদ্ধার হয়েছে প্রায় শত কোটি টাকার অধিক মূল্যের ইয়াবার চালান।

(২৪ আগস্ট) কক্সবাজারের সমুদ্র থেকে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব-১৫)। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬৫ কোটি টাকা।
(২৩ আগস্ট) টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে এবং ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। যার বাজার মূল্য ৬০ লাখ টাকা।
এর পরপরই (২৩ সে সেপ্টেম্বর) র‍্যাব-১৫ র’ অভিযানে ৯৮ লাখ টাকার ইয়াবা সহ আটক করেন এক যুবককে, (২৪ সেপ্টেম্বর) উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী র‍্যাব-১৫’ অভিযান পরিচালনা করে ১ কোটি ৬৯ লাগ টাকার (২৮ সেপ্টেম্বর) ১ কোটি টাকার ইয়াবা (২৯ শে সেপ্টেম্বর) ৫০ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার হয়।এভাবে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে উদ্ধার হয়ছে শতকোটি টাকার ইয়াবা আটক ও হয়েছে অনেকে। বন্দুকযুদ্ধ ঘটেনি একবারও নিহত হয়নি কেউ।

এক সমাজ সেবক বলেন, পৃথিবীব্যাপী মাদক চোরাকারবারি হচ্ছে। এখানে শুধু লোক দেখানো ক্রসফায়ার দিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়, আর আসল মাদক কারবারিদের সুযোগ করে দিয়ে রাগব বোয়ালরা ধরা ছোয়ার বাহিরে থাকে।আমি মনে করি আন্তরিকতা থাকলে দেশ থেকে মাদক বন্ধ করা খুব কঠিন হবে না। বন্দুক যুদ্ধের খুব প্রয়োজন পড়বে না।

উখিয়া টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধের নামে ২০৪ জন নিহত হয়েছে অনেক সুশীল সমাজের প্রশ্ন সবাই মাদককারবারীর সাথে জড়িত নাকি কোন কারো ইন্ধনে বন্দুকযুদ্ধের নামে খুন করা হয়েছে। দেশ মাদকমুক্ত হউক সবাই চাই কিন্তু একটা পরিবারকে নিঃশ্ব করে দিয়ে দেশে শান্তি বয়ে আনতে পারে না। সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে চাই শান্তির শাসন-সুবিচার কোন মায়া জড়ানো কান্নাকাটি নই।

উল্লেখ্য, ইয়াবাসহ মাদকপাচার বন্ধে দুই বছর আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে দেশজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জোরেশোরে চলে কথিত বন্দুকযুদ্ধও। এ সময় বিশেষ নজর দেওয়া হয় ইয়াবাপাচারের সদর দরজাখ্যাত সীমান্ত জেলা কক্সবাজার উখিয়া-টেকনাফ কেন্দ্রিক।

 

পাঠকের মতামত: