কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

টিকাদারের গাফলতি...

উখিয়ার রাজাপালং-রত্নাপালং সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন, বিপাকে হাজার হাজার পথচারী

এম ফেরদৌস ওয়াহিদ, উখিয়া::

টিকাদারের অব্যবস্থাপনার কারণে উখিয়া ডাকবাংলো গরুবাজার হয়ে কোর্টবাজার মরিচ্যা প্রধান হাইওয়ের সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে উখিয়াগামী পুর্বাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ ও বৃহত্তর রত্নাপালং ইউনিয়নের গয়ালমারা,চাকবৈঠা ও ভালুকিয়াবাসী।

জানা যায়,ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে দুটি প্যাকেজে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে উখিয়ায় অতি জনগুরুত্বপূর্ণ ১০টি ব্রীজের কাজ শুরু হয়। তার মধ্যে রাজাপালং ইউনিয়ন ও রত্নাপালং ইউনিয়নের মাঝামাঝি ডাকবাংলো সড়কের গয়ালমারা কালভার্টও রয়েছে। গত ৮ই জুলাই কালভার্টি নির্মাণ করতে টিকাদার নুরুল আবছার তৎসময়ে যাতায়াত কালভার্টটিতে কাজ শুরু করেন। এতে যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে কোনমতে মানুষ পারাপারের জন্য হাল্কাভাবে ছোট একটি বাঁশের সাঁকো বানিয়ে দেওয়া হয় । তাতেও যাতায়াত ব্যবস্থাটি ছিল মানুষ পারাপার হতেও অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। এ নিয়ে এলাকায় মানববন্ধন ও করেন স্থানীয়রা ।

গেলো মাস দেড়এক (২৬ জুলাই) সোমবার থেকে টানা ভারী বর্ষণে সেই বাঁশের সাঁকোটিও তলিয়ে যায় পানির সাথে। এখন পথচারি ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়েছেন পুর্ব আঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ।

এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট টিকাদার নুরুল আবছারের সাথে মুঠোফোনে 01715891367 এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে চাইলে অনেক কল দিয়েও রিচিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ সড়কের কালভার্টটির উপর চলাচলের নির্ভরশীল হাজারো গ্রাম, লক্ষাধিক পুর্ব অঞ্চলের মানুষ, তাছাড়া এইসড়ক দিয়ে ,গয়ালমারা,ভালুকিয়া,হলদিয়া,পাতাবাড়ি,মরিচ্যা হয়ে যাতায়াত করে অসংখ্য ছোট-বড় যানবাহন। এমনকি মরিচ্যা হতে টেকনাফ মেইন রোড়ের বিকল্প সড়ক হিসাবেও এটি ব্যবহার করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিকল্প কোন যাতায়াত ব্যবস্থা না করে ঠিকাদার অপরিকল্পিতভাবে কালভার্টটি নির্মাণ করতে পারাপার ব্যবস্থা বন্ধ করে জনদুর্ভোগে পেলে দিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে। বর্ষার শেষে তো কালভার্টটি নির্মাণ করা যেতো সময় তো ছিল। এখন কাজ বন্ধ ঠিকাদার ও কোন খবর নিচ্ছে না। স্থানীয়দের চরম ভোগান্তিতে পেলে যে যার মতে চুপচাপ বসে আছে।

রাজাপালং ও রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকোশলীর সুদৃষ্টি কামনা করেন জনদুর্ভোগে পড়া স্থানীয় সচেতনমহল।

পাঠকের মতামত: