কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়া হরিণমারার পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট বেপরোয়া, পাহাড় কাটার স্পট বন্ধ – ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :

উখিয়ায় পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট সদস্যরা ফের অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে । রাজাপালংয়ের হরিণমারা সিন্ডিকেটের পাহাড় কাটার তিন স্পট বন্ধ সহ পাহাড় কেটে মাটি পাচারের ১২টি চলাচলের পথে পিলার স্থাপন করেছেন উখিয়া বন বিভাগ।

বুধবার ( ২৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমের নেতৃত্বে দোছড়ি বন বিট কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র হালদার, ওয়ালাপালং বিট কর্মকর্তা বজলুর রশিদ, থাইংখালী বিট কর্মকর্তা রাকিব হোসেন, ভালুকিয়া বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, হেডম্যান, ভিলিজার, সিপিজি সদস্যসহ একদল বনকর্মী দোছড়ি বন বিটের হরিণমারা এলাকার গহিণ অরণ্যে অভিযান চালিয়ে সরকারি বনভূমি পাহাড় কাটার তিন স্পট বন্ধ সহ পাহাড় কেটে মাটি পাচারের প্রায় ১২ স্পটে পিলার স্থাপন করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দোছড়ি বন বিট কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র হালদার বলেন, মাটি খেকো সিন্ডিকেট সদস্যরা দীর্ঘ দিন ধরে রাতে আধারে অবৈধ ভাবে মাটি পাচার করে আসছিল। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার তিন স্পট বন্ধ সহ পাহাড় কেটে মাটি পাচারের প্রায় ১২ স্পটে পিলার স্থাপন করা হয়।

জানা গেছে , পাহাড় কাটার স্পট গুলো যাঁদের:
১. শাহ আলম ২. হোসেন আহমেদ ৩. নুরুল ইসলাম। তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে পাহাড় কর্তন ও মাটি পাচারের সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অপরাধে ১ টি করে মামলা রয়েছে। এই রকম আরও কয়েকটি সিন্ডিকেট রয়েছে যাঁরা বেপরোয়া ভাবে পাহাড় কাঠা চালিয়ে যাচ্ছে।

পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এদিকে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মোঃ শফিউল আলম অভিযানের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকারী বনভুমি ও পাহাড় ধ্বংসকারীরা যতবড়ই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবেনা। সরকার ইজারা দিয়েছে খাল, আর তারা ধ্বংস করছে সরকারি পাহাড় এটাতো কখনো হয়না। পাহাড় কর্তন প্রতিরোধে বনবিভাগের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে ।

স্থানীয় সচেতন মহলরা বলেন, স্থানীয় বন প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারি বন বিভাগের পাহাড়ের সাথে ড্রেজার মিশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে সরকারি বন ভূমিকে বিরান ভুমিতে পরিনত করেছে। বনভূমি রক্ষায় প্রশাসন কে আরও কঠোর হতে হবে।

পাঠকের মতামত: