কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

উন্নয়নের বড় বাঁধা টেকনাফ পৌরসভার সওজ সড়ক ও লেংগুরবিল এলজিইডি সড়ক!

মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফ::

কক্সবাজরের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে সরকারের উন্নয়নের জোয়ারের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কক্সবাজার টু টেকনাফের পৌরসভার সওজের সড়ক ও টেকনাফ সদরের লেংগুরবিল এলজিইডি সড়ক। বর্ষা শুরু হতে না হতে টেকনাফ কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কের পৌরসভার পুরাতন বাস স্টেশন সড়ক এখন মরন ফাঁদে পরিণত হয়ে পড়েছে।

সড়কে পুকুর সমান খানাখন্দ থাকায় বৃষ্টির পানিতে এগুলো ছোট ছোট পুকুরে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এই সড়কের অসংখ্য যানবাহন দুর্ঘটনায় কবলিত হচ্ছে। ফলে অনেক যাত্রী আহত ও বিকালাঙ্গ হচ্ছে। সড়ক মেরামতে কোন কারো নজর নেই। মাঝে মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিছু কর্মচারী সড়ক মেরামতের নামে ইট কংকর দিয়ে চলে যায়। তারা চলে যাওয়ার এক সপ্তাহ যেতে না যেতে আবারও খানাখন্দকে পরিনত হয়।

কয়েকজন যাত্রী জানান,এই সড়কের যাত্রীরা যানবাহনে উঠলে আল্লাহর নাম স্বরণ করতে হয়। কখন যে গাড়িটি দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে মৃত্যু করতে হয়। কয়েকজন গাড়ির চালক ও হেলপার জানান,টেকনাফ পৌরসভার সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়কে উঠলে গাড়ির অনেক যন্ত্ররাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে। ফলে আমরা এই সড়কে গাড়ি না চালানোর জন্য ইচ্ছে করি। কিন্তু যাত্রীদের অনুরোধে গাড়ি চালায়। দীর্ঘ ৪/৫ বছর ধরে টেকনাফ পৌরসভার শাপলা চত্বর হয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং পর্যন্তস সড়কটি পূন:সংস্কার না হওযায় মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে।সড়কের মূল অংশের আবরণ উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়েছে।
এই সড়কে গাড়ি চলাচল করলে ব্যাঙের লাফিয়ে লাফিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। এতে গাড়ির যেমনি যন্ত্ররাংশ নষ্ট হয় তেমনি অসুস্থ যাত্রীদের শরিরের বিভিন্ন অংশ নড়ে বড়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এমন কি অনেক যাত্রী অকালে মৃত্যুবরণ করেছে বলে ও জানা যায়।

এ বিষয়ে টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন বাস স্টেশন সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। আমাদের মেরামত করার কোন সযোগ নেয়। সুতরাং এই সড়কটি মেরামতের দায়িত্ব ও তাদের। এ ব্যাপারে আমি অনেক বার তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সড়কটি পূণ: সংস্কারের জন্য অনুরোধ করেছি।
এর পরেও তারা সড়কটি মেরামতের করছে না বিদায় পৌরবাসী যানবাহন যোগে চলাচল করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উড়ছে। অপর দিকে টেকনাফ লেংগুরবিল এলজিইডি সড়কের ও বেহাল দশা।
দূরদূরান্ত থেকে আসা লোকজনদের দূর্ভোগের অন্ত নেই। দীর্ঘদিন পর্যন্ত সড়কটির মেরামত না করায়
সড়কের মূল আবরণ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ছোট ছোট যাবাহন ছাড়া ও বড় যানবাহন চলাচল এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এই সড়কটি এতই গুরত্বপূর্ণ যে, এই সড়কের পাশে রয়েছে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর, সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ, পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের যাতায়ত সীবিচ সড়কের যাতায়ত সহ অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এই সড়কের পাশে।
সড়ক দিয়ে প্রতিদিন এ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট যানবাহন যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্টানে যায়। পাশাপাশি সাগর থেকে আহরিত মৎস্য, ক্ষেতে উৎপাদিত পান,সুপারি,সহ বিভিন্ন পণ্যাদি যানবাহন যোগে এই সড়ক দিয়ে টেকনাফ পৌরসভা সহ দেশের অভ্যন্তরে প্রেরণ করে।

এ ব্যপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কক্সবাজার র্নিবাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তাফা জানান, সড়কের বেহালদশার ব্যপারে আমি খুবই দ:খিত। বৃষ্টি একটু কমলেই শীঘ্রই মেরামতের কাজ শুরু করে দেব।

টেকনাফ লেংগুরবিল এলজিইডির সড়কের বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা উপ সহকারি প্রকৌশলী খাইরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সড়কটির টেন্ডার হয়ে গেছে। আগামী জুলাই মাস হতে মেরামতের কাজ আরম্ভ হতে পারে। এই ছাড়া সড়কের ঝুঁকি পূর্ণ গাছ গুলো কর্তন করা হবে।

পাঠকের মতামত: