কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

একসঙ্গে পিএসসি পরীক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরিতে মা-ছেলে

 

ইচ্ছা থাকলে শুধু বয়স নয়, কোনো বাধাই যে কাউকে দমাতে পারে না তার প্রমাণ মিলে গেল আরও একবার। সহজেই যেমন বলা হয়ে গেল, ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও তেমন সহজ ছিল না।

সরকারি চাকরি পেতে মা-ছেলের একসঙ্গে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষায় পাস করার এক গল্প এটি। ভারতের কেরালার মালাপ্পুরম শহরে ঘটেছে অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো এই ঘটনা।

৪২ বছর বয়সী মা আর ২৪ বছরের ছেলে একসঙ্গে এ পরীক্ষায় পাস করে এখন সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

মায়ের নাম বিন্দু আর ছেলের নাম বিবেক। দুজনই জানিয়েছেন সেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার গল্প।

বিবেক বলেন, ‘আমরা মা-ছেলে একসঙ্গে কোচিংয়ে যেতাম। বাবাই সব ব্যবস্থা করে দিতেন। শিক্ষকদের কাছে খুব প্রেরণা পেয়েছি।

‘একসঙ্গে পড়ালেখা করেছি, কিন্তু দুজনে যে একসঙ্গেই পাস করব তা কখনই ভাবিনি। আমরা অনেক খুশি।’

ছেলে যখন দশম শ্রেণির ছাত্র, তখন তাকে উৎসাহ দিতে চাকরির পড়ালেখা শুরু করেন মা। এই পড়ালেখাই তাকে কেরালার পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহী করে তোলে। এর পর ৯ বছর ধরে মা-ছেলে একসঙ্গে নেন চাকরির প্রস্তুতি।

পিএসসির ৩৮তম র‌্যাংকের লোয়ার ডিভিশনাল ক্লার্ক (এলডিসি) পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন বিন্দু, আর ৯২তম র‌্যাংক নিয়ে লাস্ট গ্রেড সার্ভেন্টস (এলজিএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বিবেক।

এর মধ্যে তিনবারের চেষ্টায় চূড়ান্তভাবে চাকরির জন্য মনোনীত হয়েছেন মা বিন্দু। ১০ বছর ধরে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিক্ষকতা করেছেন তিনি।

বিন্দু জানান, তার বন্ধুরা, ছেলে এবং তার কোচিং সেন্টারের প্রশিক্ষকরা সব সময় অনুপ্রেরণা এবং সমর্থন দিয়েছেন।

তিনি বলেন, একজন পিএসসি পরীক্ষার্থীর কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, তার নিখুঁত উদাহরণ মনে হয় নিজেকে।

বিন্দুর ভাষ্য, চেষ্টা সব সময়ই ছিল। কিন্তু আমি যে আসলে একটানা পড়ালেখা করেছি তা নয়। পরীক্ষার ছয় মাস আগে থেকে পড়তে শুরু করি। এরপর টানা পড়লেখা করেছি।

বিন্দু পিএসসির যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন, তার বয়সসীমা ৪০ বছর। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই বয়সসীমার ব্যতিক্রমও রয়েছে।

পাঠকের মতামত: