কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

একে একে ভেসে উঠল ৮ লাশ, খোঁজ মিলছে না নববধূ পূর্নিমার

রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় একে একে আটটি লাশ ভেসে উঠেছে। কিন্তু নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণিমার খোঁজ মিলছে না।

আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ণিমার খালা আখি খাতুন (২৫) ও দুপুর দেড়টার দিকে তার ফুফাতো বোন কিশোরী রুবাইয়া খাতুন স্বর্ণার (১৩) লাশ উদ্ধার করা হয়।

নৌ-পুলিশের রাজশাহী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি জায়গা থেকে নিখোঁজ আখি খাতুনের লাশ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। এর আগে দুপুরে প্রায় একই স্থান থেকে গৃহবধূর ফুফাতো বোন কিশোরী রুবাইয়া খাতুন স্বর্ণার উদ্ধার করা হয়। তবে নববধূর খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। তাকে উদ্ধারে তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

মেহেদী হাসান বলেন, ‘নিখোঁজ নববধূর সন্ধানে ঘটনাস্থলের আশেপাশে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল। নদীর ভাটির দিকে নৌ-পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টহল দল ট্রলার নিয়ে ভাসমান লাশের সন্ধান করছে।’

নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার নিহতরা হলেন, কনের দুলাভাই রতন আলী (৩২), চাচাতো বোন মরিয়ম (৮), চাচা শামীম (৩১), স্ত্রী মনি খাতুন (৪২), তাদের মেয়ে রোশনি (৭) ও কনের খালাতো ভাই এখলাস হোসেন (২২)।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) হামিদুল হক জানান, নিখোঁজ গৃহবধূর সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী বিজিবি, নৌ-পুলিশ এবং ডুবুরিরা কাজ করছেন।

ডিসি হামিদুল হক বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার করে টাকা প্রদান করা হয়েছে। যারা আহত হয়ে চিকিৎসাধীন তাদের চিকিৎসাভারও প্রশাসন বহন করছে। ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের একটি দল কাজ করছেন। তাদের দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও উঠে আসবে। তা পর্যালোচনা করে হতাহতের পরিবারকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।

হতাহতদের পরিবার সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার পদ্মার ওপারে পবা উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান রুমনের (২৫) সঙ্গে এপারের ডাঙেরহাট গ্রামের সুইটি খাতুন পূর্ণিমার (১৬) বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুইটি শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। পরদিন শুক্রবার কনেপক্ষ বরের বাড়ি থেকে নবদম্পতিকে আনতে যায়। সন্ধ্যার কিছু সময় আগে তারা বরের বাড়ি থেকে বের হয়ে দুটি নৌকায় করে কনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা  দেয়। পথিমধ্যে নগরীর শ্রীরামপুরের বিপরীতে নদীর মাঝামাঝি স্থানে প্রায় ৩৬ জন বরযাত্রীসহ নৌকা দুটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনা কবলিত নৌকা দুটি উদ্ধার হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় কনেসহ ৯ জন ব্যতীত বাকি সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

পাঠকের মতামত: