কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

এক ডোজ নিলেই তোলা যাচ্ছে করোনা টিকা সনদ

বিশেষ প্রয়োজনে এক ডোজ টিকা নেওয়ার পর করোনাভাইরাসের টিকা সনদ তোলা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
এক ডোজ নিলেই তোলা যাচ্ছে করোনা টিকা সনদ

শনিবার (৭ আগস্ট) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রোগ্রামার আবদুল্লাহ আল রহমান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

টিকার সনদ surokkha.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এক ডোজ টিকা নিয়ে দেশের বাইরে চলে যেতে চান তাহলে তিনি টিকা সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে যেতে পারবেন। ছাত্র এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী ও কূটনীতিকদের জন্যই মূলত এই সিস্টেম করা হয়েছে।’

আবদুল্লাহ আল রহমান বলেন, ‘সিঙ্গেল ডোজ টিকা নিয়ে অন্য কোনো দেশে যেতে চাইলে সেই দেশ যদি অনুমতি দেয় তাহলে যেতে পারবেন। বাংলাদেশের বিমানবন্দরে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ সারা বিশ্বেই এ পদ্ধতি চলছে।’

আইসিটি বিভাগের এই প্রোগ্রামার বলেন, প্রথম ডোজে যেই টিকা নেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ডোজেও একই ধরনের টিকা নিতে হবে। সার্টিফিকেটে উল্লেখিত টিকার বাইরে অন্য কোনো টিকা নেওয়া যাবে না।’

আইসিটি বিভাগ থেকে আরও জানানো হয়, সারা দেশে শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে একযোগে শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম। আর এ টিকা পেতে প্রতি ঘণ্টায় নিবন্ধন করেছেন প্রায় এক লাখ মানুষ।

এতো মানুষ এক সঙ্গে ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে আসায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে আবদুল্লাহ আল রহমান বলেন, ‘সুরক্ষা অ্যাপসে কোনো ঝামেলা হচ্ছে না। কারণ কারিগরিভাবে আমরা খুবই স্ট্রং।’

সবশেষ শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ‘সুরক্ষা’ অ্যাপের মাধ্যমে করোনা টিকার জন্য ২ কোটি ১৮ লাখ ১৩ হাজার মানুষ নিবন্ধন করছেন। এর আগে শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাত ৯টা ৪৫ পর্যন্ত করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করেন ২ কোটি ৪ লাখ মানুষ।

এদিকে, আগামী বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) পর্যন্ত সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সারাদেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভা ও ১২টি সিটি করপোরেশনের ৪৩৩টি ওয়ার্ডে করোনার টিকা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে অধিদপ্তর। এ ক্যাম্পেইনের কার্যক্রমে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত রয়েছেন।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মূলত ২৫ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে পঞ্চাশোর্ধ জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের আওতায় ৭ আগস্ট দেশের সব ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। ইউনিয়ন ও পৌরসভার যেসব ওয়ার্ডে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে ৭ আগস্ট করোনার টিকা দেয়া সম্ভব হবে না, এসব জায়গায় ৮ ও ৯ আগস্ট টিকা দেয়া হবে।

তবে ৭ থেকে ৯ আগস্ট এই তিনদিন সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্যাকসিনেশন চলবে। ৮ ও ৯ আগস্ট দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় টিকা দেয়া হবে। আর ১০ থেকে ১২ আগস্ট ৫৫ বছরের বেশি বয়সী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে টিকাদান কার্যক্রম চলবে।

পাঠকের মতামত: