কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

এখনো করোনামুক্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। রবিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি) এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের সাথে ইন্টার-সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি) এর অংশীদার জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ, স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং রোহিঙ্গাদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোভিড-১৯ সাড়াদান প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করছে।

তাই এখনো পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর মাধ্যমে কোনো কোডিভ-১৯ নিশ্চিত রোগী পাওয়া যায়নি। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ক্যাম্পগুলোতে কেবলমাত্র অতি জরুরি পরিষেবা অব্যাহত রয়েছে।

এগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে- স্বাস্থ্য, পুষ্টি, খাদ্য এবং রান্নার জ্বালানী সরবরাহ, স্বাস্থ্যবিধির প্রচারণা, পানি ও স্যানিটেশন কার্যক্রমসহ নতুন আগত শরণার্থীদের সঙ্গনিরোধ। ক্যাম্পগুলোতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সম্প্রদায় সরকারের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক লক্ষ্যকে মাথায় রেখে চলাচল সীমিত করেছে।

জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং এনজিগুলো সদর হাসপাতালের মতো সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সক্ষমতা বাড়াতে এবং রামু ও চকরিয়ায় বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবার সংস্কার ও নতুন সঙ্গনিরোধ সেন্টার নির্মাণ, জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের মতো সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।

স্বাস্থ্যসেবীরা, যারা জেলায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) এবং চিকিৎসা সরবরাহ ও সরঞ্জামের মজুদের উপর স্বাস্থ্য খাতের অংশীদাররা জোর দিচ্ছেন। তবে স্বল্প সময়ে অনেক অগ্রগতি সত্ত্বেও জেলায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশেষত স্বাস্থ্যসেবী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিইসহ আইসিইউ রোগীর চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেনের ব্যবস্থার মতো বিষয়গুলোতে আরও প্রস্তুতি প্রয়োজন। বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্পে বসবাস করায় এবং অপ্রতুল স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এ ভাইরাসটির দ্রুত সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

মহামারির বিরুদ্ধে লড়তে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংক্রমণ ঝুঁকি কমিয়ে আনতে এবং প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে আইএসসিজি’র অংশীদাররা অতিরিক্ত তহবিল গঠন এবং আন্তর্জাতিক সংহতি জোরদারের প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে।

পাঠকের মতামত: