কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

এবারের বন্যায় ২৫১ মৃত্যু

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেল্থ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বৃহস্পতিবারের ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যাজনিত মৃত্যুর’ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

৩০ জুন থেকে ২৭ অগাস্ট পর্যন্ত বন্যা দুর্গত এলাকায় পানিতে ডুবে ২১০ জনের, বজ্রপাতে ১৩ জনের, সাপের দংশনে ২৫ জনের, ডায়রিয়ায় ১ জনের এবং আঘাতে ২ জনের মৃত্যু নথিভুক্ত করেছে।

বন্যা কবলিত ৩৩ জেলায় ডায়রিয়া, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, শ্বাসনালীর প্রদাহসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭,৩০১ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাই অর্ধেক।

তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৪২ জন। এর মধ্যে দুজনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। বাকিরা সবাই শিশু এবং তাদের একজন প্রতিবন্ধী।

মৃতের সংখ্যায় এই তারতম্যের কারণ জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক বলেন, “সংখ্যা নিয়ে ভুল বোঝাবিুঝি রয়েছে। বন্যার পানিতে মৃত্যুর বিষয়ে আমাদের মাঠ পযায়ের কর্মকর্তারা যে তথ্য পাঠাচ্ছেন এটাই সঠিক। এখানে বন্যার পানিতে ডুবে বা ভেসে গিয়ে মৃত্যু হলে তাদের নাম-ঠিকানাসহ পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাঠাতে হয়। বন্যা আক্রান্ত এলাকার বাইরে বা ভ্রমণে গিয়ে নৌকা ডুবি বা অন্যভাবে দুর্ঘটনার তথ্য এখানে যুক্ত করা হয় না।”

দীর্ঘদিন দুর্ভোগের শেষে পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণও করা হয়েছে। এবার চার দফার বন্যায় সারা দেশে ৫ হাজার ৯৭২ কোটি ৭৪ লাখ ৬২ হাজার ৭৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছে সরকার।

ক্ষতির এই পরিমাণ ১৯৯৮ সালের বন্যার চেয়ে কম বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: