কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

এসএসসি ও এইচএসসি’র সংশোধিত সিলেবাস প্রকাশ

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সংশোধিত সিলেবাস প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। প্রকাশিত পাঠ্যসূচি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সই করা শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনাসহ বিষয়ভিত্তিক সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস করা সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এই পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিলেবাসের এই পাঠ্যসূচি অনুযায়ী, নিয়মিত ও অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন স্কুল ও কলেজগুলোতে এই সংশোধিত সিলেবাস পাঠানো হয়েছে।

এনসিটিবি’র এক কর্মকর্তা জানান, পুনর্বিন্যাস করা এই পাঠ্যসূচিতে বইয়ের মাত্র ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ রাখা হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে বইয়ের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পাঠ। পরবর্তী ক্লাসের জন্য মৌলিক দক্ষতা অর্জনে (কোর কম্পিটেন্ট) যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু রাখা হয়েছে পাঠ্যসূচিতে।

এর আগে জানুয়ারি মাসে এসএসসি ও এইচএসসির সংশোধিত সিলেবাস প্রকাশ করা হলেও তা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগে বলা হয়, জুন মাসে এসএসসি ও জুলাই-আগস্ট মাসে এইচএসসি পরীক্ষা হলে ওই সিলেবাসটি এর মধ্যে শেষ করা যাবে না। এই অভিযোগের পর গত ২৭ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এনসিটিবিতে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেন।

বৈঠকে পাঠ্যসূচি সংশোধনের জন্য শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস তিন মাসে শেষ করার মতো এবং এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস চার মাসের মধ্যে শেষ করা যায়, এভাবে পুনর্বিন্যাস করতে হবে। পরবর্তী ক্লাসের জন্য মৌলিক দক্ষতা অর্জনে (কোর কম্পিটেন্ট) যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু সিলেবাসে রাখতে হবে পাঠ্যসূচিতে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এই সিলেবাস ধরে এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হবে।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

পাঠকের মতামত: