কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

এসএসসি পরীক্ষাও বাতিল হতে পারে

মহামারী করোনার সংক্রমণ এড়াতে প্রথমে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) এরপরে জেএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চলমান এ অবস্থায় এবার এসএসসি বা সমমান পরীক্ষাও বাতিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।

শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, অক্টোবরের ৩ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পরীক্ষা হয়ে থাকে। এর ফলাফল ঘোষণা হয় নভেম্বরে। কিন্ত করোনার কারণে অনুষ্ঠিত হয়নি সেই মূল্যায়ন পরীক্ষা। যার ফলে অন্যান্য পরীক্ষার মতো এসএসসিও বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শিক্ষাবোর্ডের বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যার ফলে নেয়া হয়নি এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পরীক্ষা। ফলে বাতিল হতে পারে পরীক্ষাটি।

অন্যদিকে, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরাও চাচ্ছেন না পরীক্ষাটা (এসএসসি) হোক। এ ব্যাপারে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘করোনার কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একইসঙ্গে বন্ধ আছে কোচিং এবং প্রাইভেটও। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে লেখাপড়ার বাইরে রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। এ অবস্থায় পরীক্ষা না নিয়ে অটোপাস করিয়ে দেয়া-ই একমাত্র উপায়।’

আবার পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষাবোর্ড তরিঘরি করতে গেলে শিক্ষার্থীদের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ার শঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। তারা বলছেন, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি থাকার পরেও সরকার পরীক্ষা বাতিল করেছে। ফেব্রুয়ারিতে হয়তো করোনা চলে যাবে। কিন্তু প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়ে বাচ্চারা পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারবে না।

এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘পরীক্ষা বাতিল হওয়ার মতো কোনো সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করিনি। তবে এমন পরিস্থিতিতে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়, এটাও মানতে হবে।

‘তবে এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন সম্পর্কেই ভাবছি’ বলেও জানান তিনি।

তবে পরীক্ষা বাতিল বা মূল্যায়ন করে সব ধরনের সমাধান হয় না বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ যতিন সরকার। তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের নীতিনির্ধারকদের আরো ভাবতে হবে।’

একইসঙ্গে শিক্ষায় যে ক্ষতিটা হলো আগামী ২০ বছরেও এ ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব হবে কি না এ বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন এ শিক্ষাবিদ।

পাঠকের মতামত: