কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

‘কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটননগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর’

কক্সবাজারের রামুতে হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শনিবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকায় এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

এ সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কক্সবাজারকে আধুনিক ও স্মার্ট পর্যটননগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর এখন আমরা বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে চাই। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই, যেটা হবে সোনার বাংলার প্রতিরূপ।

এরপর বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির হিসেবে যোগ দেন পলক।

এ সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৩ বছর আগে ডিজিটাল অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। আর বর্তমানে তা ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালে আইসিটি রফতানি ৫ বিলিয়ন ডলার এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে আইসিটি খাতে কর্মসংস্থান ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল কক্সবাজারে হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের মানুষ শিক্ষায় অত্যন্ত অনগ্রসর। এই অঞ্চলের তরুণ-তরুণীদের আইটিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা গেলে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ক্ষেত্রে যে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে এই এলাকার সন্তান হিসেবে আমি এবং আমার জনগণ পাশে আছে।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বর্তমানে সারা দেশে ৯২টি হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ৯টি পার্ক স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে যেখানে ইতোমধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাইটেক পার্কসমূহে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস ও প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২৩টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং ১৫১টি স্থানীয় স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিনামূল্যে স্পেস ও কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক একেএএম. ফজলুল হক জানান, প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারে প্রায় ৮.০৭ একর জমিতে এই হাইটেক পার্ক স্থাপনের কাজ শেষ হলে এখানে প্রায় ৩০০০ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় ১০০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

পাঠকের মতামত: