কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারের নিখোঁজ ১৯ বাংলাদেশি মাঝি ও জেলের সন্ধান মিলেছে

কক্সবাজার থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলার ১৯ জেলে। অবশেষে তাদের সন্ধান মিলেছে।
নিখোঁজ ১৯ বাংলাদেশি মাঝি ও জেলেকে ভারতের পেরাদ্বীপের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশন।

মঙ্গলবার ফেসবুকের এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারতীয় হাইকমিশন।

ওই ফেসবুক বার্তায় বলা হয়, ভারতীয় কোস্টগার্ডের জাহাজ বরদ সমুদ্রে বিপর্যস্ত বাংলাদেশি নৌকা থেকে ১৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করেছে।
নিখোঁজদের মধ্যে ছিলেন মঞ্জুর মাঝি, মোক্তার ট্রালারের মিস্ত্রি, আরিফ মাঝি, সাদ্দাম মাঝি, তাজুল মাঝি, জসিম মাঝি। এ ছাড়াও বাকিরা দিনমজুর হিসেবে যাওয়ায় তাদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। এর আগে নিখোঁজ ট্রলার মালিক কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়ার নজির হোসেন কোম্পানীর ছেলে মো. মাসুদ রানা গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

সাধারণ ডায়েরিতে নিখোঁজ ফিশিং ট্রলার এফবি রানার মালিক মাসুদ রানা উল্লেখ করেন, ১৯ মাঝি-মাল্লা ও ১০ থেকে ১২ দিনের রসদ নিয়ে গত ১৫ নভেম্বর শহরের ফিশারিঘাট থেকে তার ট্রলারটি সাগরে রওয়ানা দেয়। কিন্তু ২৩ দিন পরও ট্রলার ও মাঝি-মাল্লাদের কোনো খোঁজ মিলছে না।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন ওই ১৯ জেলে। নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে ভোলার কমলনগর উপজেলার ১২ এবং রামগতি উপজেলার সাতজন জেলে রয়েছেন।

জানা যায়, কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়ার ছড়া এলাকার নজির হোসেন কোম্পানির ‘এমভি রানা’ নামের ট্রলার নিয়ে মঞ্জুর মাঝি ১৮জন জেলেসহ গত ১৫ নভেম্বর মাছ শিকারে যান দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। ওই দিন ট্রলার মালিকসহ স্বজনদের সঙ্গে জেলেদের মুঠোফোনে কথা হলেও পরদিন থেকে তারা নেটওয়ার্কের বাইরে চলে যান। কিন্তু মাছ শিকার শেষে আট থেকে ১০ দিনের মধ্যে সাগর থেকে তারা ফেরত আসার কথা থাকলেও তারা আর ফেরেননি।

পাঠকের মতামত: