কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে আদালতের আদেশ উপেক্ষা, দোকানপাট নির্মাণ

কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়িতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের আদেশ থাকলেও আবার নতুন করে তৈরি হচ্ছে দোকানপাট। টাকার বিনিময়ে প্রভাবশালীরা সৈকতের বালিয়াড়িতে দোকানপাট তৈরি করছে বলে জানিয়েছে খোদ ব্যবসায়ীরা।

সৈকতের বালিয়াড়ি দখলমুক্ত করার জন্য বার বার আন্দোলন করেও কাজ হচ্ছে না বলে দাবি সুশীল সমাজের। তবে সৈকতে নতুন করে কোন স্থাপনা নির্মিত হলে তা দ্রুত ভেঙে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। যার সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক।

কিন্তু সৈকতের এই সৌন্দর্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। সৈকতের বালিয়াড়িতে নির্মিত হয়েছে শত শত দোকানপাট ও স্থাপনা। যা উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের আদেশও রয়েছে। কিন্তু এই আদেশ তোয়াক্কা না করে আবার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে নতুন করে নির্মিত হচ্ছে দোকানপাট।
স্থানীয়রা জানান, এখানে কিছু ক্ষমতাশীন মানুষ দোকানগুলো রেখে দিয়েছেন। ডাবের দোকান, চায়ের দোকান ও খাবারের হোটেল রয়েছে। এগুলো যেকোন সময়ে আবার ভেঙেও দেয়া হতে পারে।

সৈকতের বালিয়াড়ি অবৈধ দখল ও ঝুপড়িমুক্ত করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন করে আসলেও কোন কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আমরা কক্সবাজারবাসীর সমন্বয়ক কলিম উল্লাহ।
তিনি বলেন, এখান পুরাতন ও নতুন করে দোকার বসানোর বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে; সেটি মানা হচ্ছে না।
তবে জেলা প্রশাসক আশ্বাস দেন, সৈকতে নতুন করে কোন স্থাপনা নির্মিত হলে তা দ্রুত ভেঙে দেয়া হবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, সৈকতে নতুন করে কোনও দোকান বসানো সুযোগ নেই। যদি কেউ করে আমরা ভেঙে দেবো।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টের বালিয়াড়িতে রয়েছে সহস্রাধিক দোকানপাট ও স্থাপনা।

পাঠকের মতামত: