কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পরিবার নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আবুল ওসমান নামের এক রোহিঙ্গা যুবক

কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর অফিসের সামনে রোহিঙ্গা যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা

পারিবারিক বিরোধ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশনের (ইউএনএইচসিআর) সাব-অফিসের সামনে পরিবার নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আবুল ওসমান নামের এক রোহিঙ্গা যুবক।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে শহরের হোটেল-মোটেল সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আবুল ওসমান উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের ই ব্লকের ৪০ নম্বর শেডের বাসিন্দা। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী, সন্তান ও মা ফাতেমা বেগম।

ভুক্তভোগী রোহিঙ্গা আবুল ওসমানের দাবি, তার সৎ মায়ের সঙ্গে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। কিন্তু সৎ মা সাবেরা খাতুনের এনজিও সংস্থা ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সখ্যতা থাকায় তিনি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

তার অভিযোগ, সৎ মায়ের কথা শুনে ক্যাম্প সিআইসি ও পুলিশ তার পরিবারকে নিয়মিত হয়রানি করছে।

কথিত আরসার নেতাদের হুমকি পেতে হচ্ছে জানিয়ে এ যুবক বলেন, “নিবন্ধিত শরণার্থী হিসেবে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা কোনো কিছুই করছে না। বারবার অভিযোগ করার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি, নিবন্ধিত শরণার্থী হিসেবে যে সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা তাকে তার কিছুই দেওয়া হচ্ছে না।”

রোহিঙ্গা যুবক জানান, তিনি বারবার সৎ মায়ের বিরুদ্ধে বিচার চেয়েছেন। কিন্তু কেউ তার কথা শোনেনি। তাই বিচার চাইতে তিনি ইউএনএইচসিআরের সাব অফিসে এসেছেন। এর বিচার না করলে আত্মহত্যা করার হুমকি দেন তিনি। পরে রাস্তায় শুয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন।

তার মা ফাতেমা বেগম বলেন, “ওসমানদের বাবা আরেকটি বিয়ে করেছেন। ওই নারী তার সন্তানদের হত্যার উদ্দেশ্যে বারবার লোকজন নিয়ে হামলা করে। এ নিয়ে বার বার অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন পুরো পরিবার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছি।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “অভিযুক্তরা উল্টো আমার ছেলেকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হেনস্তা করছে। ইউএনএইচসিআর অফিসে কয়েক দফা বলার পরও সমাধান হচ্ছে না বা করছে না তারা।”

ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষীদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিন বলেন, “সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আবুল ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যরা বের হন।”

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইউএনএইচসিআর কক্সবাজার কার্যালয়ের লিয়াজোঁ অফিসার ইখতিয়ার উদ্দিন বায়েজীদ বলেন, “নিবন্ধিত রোহিঙ্গা পরিবার বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি অফিসের সামনের সড়কে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।”

পাঠকের মতামত: