কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে ইয়াবার বৃহৎ মামলার অভিযোগ গঠন

কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আজ বৃহষ্পতিবার দেশের অন্যতম চাঞ্চল্যকর এবং সর্ববৃহৎ মাদক মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মামলাটিতে আসামি ১০১ জন তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি। তাদের মধ্যে রয়েছে টেকনাফের বিতর্কিত সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির চার ভাই ও এক ভাগ্নেসহ আরো বেশ কয়েক ঘনিষ্ঠজন। গত দুই বছর ধরে এসব আসামিদের সবাই কক্সবাজারের কারাগারে আটক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ সীমান্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ১০২ জন ইয়াবা কারবারি সরকারের আহ্বানে একযোগে আত্মসমর্পণ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ দিনের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। আত্মসমর্পণের আগে পুলিশ এসব ইয়াবা কারবারিদের নিকট থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা ও ৩০টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছিল।
এ ব্যাপারে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয় টেকনাফ থানায়।

কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, এ মামলার ১০২ জন আসামির মধ্যে একজন এর মধ্যে মারা গেছেন। অপর ১০১ জন আসামির মধ্যে চারজন আসামিকে অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি।

আজ বৃহষ্পতিবার মাদক মামলায় ৯৭ জন আসামির বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে কক্সবাজার ৪ আসনের সাবেক আওয়ামী লীগ দলীয় বিতর্কিত এমপি আবদুর রহমান বদির চার ভাই যথাক্রমে আবদুল শুকুর, আবদুল আমিন, শফিকুর রহমান ও মোহম্মদ ফয়সাল এবং ভাগ্নে শাহেদুর রহমান নিপুসহ ঘনিষ্ঠ আরো বেশ কয়েকজন রয়েছেন।
আগামী ১২ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ও অস্ত্র মামলাটির অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করা হয়েছে।

এদিকে আত্মসমর্পণ করা টেকনাফ সীমান্তের সাবরাং ইউনিয়নের আলীর ডেইল গ্রামের বাসিন্দা জাফর আহমদ কালের কণ্ঠকে জানান, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানকে সম্মান জানিয়ে অতীত কর্মকাণ্ড থেকে সরে এসে আত্মসমর্পণ করেছি। আজ দীর্ঘ দুই বছর সময় ধরে কারাভোগ করছি। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে মামলাগুলো থেকে মানবিক দৃষ্টিতে রেহাই চাই।

পাঠকের মতামত: