কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে করোনা সনাক্ত হওয়া রোগীর ছেলে ও মেয়ের ২ টি ভবন লকডাউন

কক্সবাজারের প্রথম করোনা রোগী মুসলিমা খাতুন যে দুই বাড়িতে ছিলেন সেই বাড়ি দুটি লকডাইন করে দিয়েছে প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার কচ্চপিয়া পুকুর পাড়ে অবস্থিত মুসলিমা খাতুনের ছেলে কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সোলায়মানের বাড়িটি লকডাউন করে দেয় প্রশাসন।

পল্লীবে লেইনের ফরিদ ভবনের মালিক মুসলিমা খাতুনের মেয়ের কাছে জানা গেছে, রোগী এই বাড়িতেও ছিল। তাই এই দুটি ভবনকেই লকডাইন করা হয়েছে এবং দুটি ভবনের সবাইকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা ছিদ্দিকি জামশেদ বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগী যে দুটি বাড়িতে ছিল সেই বাড়ি দুটির সকল মানুষকে লকডাউন করা হয়েছে। এখানে পৌরসভার পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক পাহারার ব্যাবস্থা রাখা হবে। আর প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার সরবরাহ করা হবে।

লকডাউনের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিবুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, সদর থানার ওসি শাহজাহান কবির সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এদিকে আজ সকালে জেলার প্রথম করোনা রোগী হিসেবে মুসলিমা খাতুনকে শনাক্ত করা হয়। তিনি ১৩মার্চ ওমরা হজ করে সৌদি আরব থেকে এসেছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি সৌদি আরব থেকে আসার সময় গায়ে জ্বর নিয়ে এসেছিলেন। তবে সেটাকে পাত্তা দেয়নি উনার ছেলে মেয়েরা। বরং জেলা সদর হাসপাতালে সৌদি আরব থেকে এসেছেন সেই তথ্যই গোপন করেন তারা।

এতে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডা: মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

তিনি বলেন, তিনি একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে যে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন সেটা কোন সাধারণ মানুষও করবেনা। এটা খুবই অন্যায় হয়েছে। এতে আমাদের ডাক্তার নার্সরাও সংকটে পড়েছে।

পাঠকের মতামত: