ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কবীর মাহমুদ বলেছেন, সব স্তরের ঝামেলার মূলে ভূমি ব্যবস্থাপনা। শত বছরের এ সমস্যা দিনে দিনে সমাধান হবে না। তবু সরকারের সদিচ্ছা ও উদ্যোগের কমতি নেই। জনমুখী ভূমি ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করেছে সরকার। এখন থেকে ঘরে বসে ভূমি সেবা নিতে পারবেন যে কেউ।
রোববার দুপুরে কক্সবাজার জেলায় ‘ভূমি সেবা সপ্তাহ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমি সেবা সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল- ‘ভূমি সেবা অফিসে না এসে ডিজিটাল ভূমি সেবা গ্রহণ করুন।’
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় উপসচিব কবীর মাহমুদ বলেন, আমরা যারা প্যান্ট-শার্ট পরি, তারাই সরকারি সেবা নিতে লাইনে দাঁড়াতে অভ্যস্ত নই। টাকা দিয়ে দালাল সৃষ্টি করি। সাধারণ মানুষ কিন্তু নিয়ম মেনে সরকারি সেবা গ্রহণ করতে অভ্যস্ত।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ, এডিএম মো. আবু সুফিয়ান, সদর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা তাহের, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন, সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জিল্লুর রহমান, উখিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাজউদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য দেন।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, জমিসংক্রান্ত সব কার্যক্রম সরকার ইন্টারনেট বা অনলাইন সেবার অন্তর্ভুক্ত করার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। সবার সহযোগিতা পেলে শক্তিমান গতিতে আমরা এগিয়ে যেতে পারব।
তিনি বলেন, যে কোনো দুর্নীতি, অনিয়মের খবর জানাবেন- মোবাইলে হোক, এসএমএসে হোক। সবার অভিযোগ বিবেচনায় আনা হয়। সরকারি সেবা পেতে কেউ যেন অবৈধ উপায়ে টাকা পয়সার লেনদেন না করে।
জেলা প্রশাসক বলেন, সারা বছর ভূমি সেবা দেওয়া হয়। সেবাকে আরও বেগবান করতে গত ১৯ থেকে ভূমি সেবা সপ্তাহের কার্যক্রম চলছে। এজন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ভবনের নিচে স্টল বসানো হয়েছে। ২৩ মে পর্যন্ত ভূমি সেবা সপ্তাহ। প্রয়োজনসাপেক্ষে এ সেবা আরও বৃদ্ধি করা হবে। হটলাইন ১৬১২২ নাম্বারে কল করে যে কোনো ব্যক্তি ভূমি সেবা নিতে পারবেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য একটি র্যালি বের করা হয়।
এতে জেলা জাসদের সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ডালিমসহ সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করেন।
পাঠকের মতামত: