কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে বিদ্যুতের টানা লোডশেডিং : অতিষ্ঠ জনজীবন

শনিবার (৪ এপ্রিল) থেকে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুতের দেখা মিলছে না । বিদ্যুৎতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন জেলার মানুষ। একদিকে করোনা অন্যদিকে বিদ্যুতের এ ভাঁওতাবাজি সাধারণ মানুষ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। করোনার কারণে প্রশাসনিকভাবে মানুষের বাহিরে বিচরণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ঘরে থাকার জন্য। ঘরেই যদি শান্তি না থাকে মানুষ কোথায় যাবে।কেউ কেউ গরমে অতিষ্ঠ হয়ে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে বাহিরে যাচ্ছে। ফলে ভেঙে যাচ্ছে প্রশাসনের বিধিনিষেধ।

জেলার মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া, উখিয়া ও টেকনাফে বিদ্যুতের দেখা নেই। অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে ওইসব অঞ্চলের মানুষের ধর্য্য ক্ষমতা।

শনিবার দুপুরে সামান্য বাতাস বয়ে যায়। এর অজুহাতে অদ্যবধি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় এসব এলাকায় এখন ভুতড়ে অবস্থা বিরাজ করছে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নজিরবিহীন উদাসীনতা ও খামখেয়ালীপনার ফলে অন্ধকারে ডুবে রয়েছে বিশাল উপরোক্ত এলাকা। এতে গ্রাহকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী মহেশখালী কালারমারছড়ার যুবক মামুনুর রশীদ বলেন, দুপুরে বাতাসের পর পরই বিদ্যুত চলে যায়। সারারাত আর বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। অসহনীয় অবস্থায় কেটেছে আমাদের সময়। পরে ২৪ ঘন্টা অবিবাহিত হলে বিকেল ৩ টায় বিদ্যুৎ আসে, তবে এতেও শঙ্কামুক্ত নই কখন আবার চলে যায় তারও ঠিক ঠিকানা নেই।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম বলেন, লাইনে রক্ষনাবেক্ষন ও চেকআপের সমস্যা থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। আমরা চেষ্টা করবো যেন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়।

পাঠকের মতামত: